আলফানসো, চৌসা, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হিমসাগর, গুলাবখাস, গ্রীষ্ম কাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলের বাজারে গেলে শোনা যায় আমের এই সব বিখ্যাত নাম। স্বাদ গন্ধ ও বর্ণের বিচারে সে গুলি যেন একে অপরের প্রতিযোগী। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে পাওয়া যায় এমন এক আম, সেই আমের পরিচিতি এদেশে সে ভাবে না থাকলেও বিদেশে তার চাহিদা আকাশছোঁয়া। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যম, সব জায়গাতেই ঘুরছে উজ্জ্বল বেগুনি রঙয়ের আম। মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতি রানী ও সংকল্প পরিহার গত বছর থেকে এই আমের চাষ শুরু করেন। যার নাম মিয়াজাকি। আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রজাতির আম কেজি প্রতি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পুষ্টিতে ভরপুর এই আমে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে আছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফোলিক অ্যাসিড।
মাত্র এক বছর আগে এই আমের চাষ শুরু করেন ওই দম্পতি। তখন তাঁদের এই আমের সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। তাঁরা জানান, বাগান করা তাঁদের শখ। সেই শখের বশেই চেন্নাইয়ের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁরা এই গাছের চারা কেনেন। তখন তাঁরা এই গাছটির সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। পরে এই বিষয়ে পড়াশোনা করে জানতে পারেন যে, এটি আসলে মিয়াজাকি প্রজাতির আম গাছ। এদেশে এই আমের প্রচলন না থাকলেও বিদেশে এই আম চড়া দামে বিক্রি হয়। তাঁদের কাছ থেকে এই গাছের একটা আম কিনতে চেয়েছিল মুম্বইয়ের এক গয়না ব্যবসায়ী। মাত্র একটা আমের জন্য সে দাম দিয়েছিল ২১ হাজার টাকা। কিন্তু রানী জানান, এই আম কিনে নিলে যে কেউ এর চারা বানিয়ে ফেলতে পারবে। তাই এই গাছের আম কিংবা চারা বিক্রি করবেন না। তাঁদের বাগান থেকে যাতে এই গাছের ডাল কেটে, বা আম কেউ যাতে চুরি করতে না পারে, সেই জন্য দম্পতি বাগান ও আমি গাছ পাহারা দেওয়ার জন্য ৪ জন রক্ষী ও ৬টি পাহারাদার কুকুর মোতায়েন করেছেন।