কলকাতা: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় আদালতে জমা পড়া সমস্ত নথি হাতে পেতে আবেদন করল সিবিআই৷ রাজ্যে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় আদালতে যে কটি মামলা চলছে, তার মধ্যে অন্যতম অভিজিৎ সরকার খুনের মামলা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর আগে বেশ কিছু মোবাইল ফোন রেকর্ড পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ সেগুলি মত্যুকালীন জবান বন্দি হিসাবেই ধরা হবে ওই ফোন কলকে৷
কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়ে গেলেও মৃতের ভাইয়ের দেহ সনাক্ত করতে পারছে না। তাই ডিএনএ পরীক্ষাই একমাত্র উপায়, দেহাংশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন- ঘাটালের জন্য টাকা চাইতে মোদি সরকারের কাছে দরবার বাংলার, কেন্দ্র বলল ভেবে দেখছি
অভিজিৎ সরকারের দাদার সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকরা।
নিহত অভিজিৎ সরকারের ভাই, মা এবং পরিবার তদন্তে সাহায্য করছেন না। গোপন জবানবন্দির জন্য ৫ বার ডেকে পাঠানো হয়েছে, ইমেল করা হয়েছে, কেউ উত্তর দেননি। আদালতে এই বিষয়ে জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দ্বারা গঠিত বিশেষ কমিটি।
আরও পড়ুন-করোনায় মৃত্যু নয় শুভ্রজিতের, রিপোর্ট হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাবা মা
একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন অভিজিৎ সরকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কাঁকুরগাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎকে বেধড়ক মারধর করেন৷ গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। এর পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান৷
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ যাদবপুরে
অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সেদিন বলেছিলেন, নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পরই এলাকার বিধায়ক পরেশ পালের নির্দেশে ভাইকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ পরেশ পালের অনুগতরাই এই কাণ্ড ঘটান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন৷ এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়।