পাটনা: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (upcoming loksabha elections) মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে (muslim vote bank) যাতে ফাটল না ধরে, তার জন্য এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়লেন জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী(Bihar CM) নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মুসলিম সমাজের প্রতি তাঁর বার্তা, বিজেপি এবং মিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার খেলায় নেমেছে। তারা বিভাজনের রাজনীতি (politics of division) করছে। এতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। সোমবার নীতীশের বাড়িতে মুসলিম সমাজের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নীতীশ সকলকে সতর্ক করেন। এই বৈঠক এতটাই গোপনীয় ছিল যে, জেডিইউয়ের মুসলিম নেতাদের পর্যন্ত প্রবেশাধিকার ছিল না। ওই নেতাদের কাউকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
কী বললেন নীতীশ ওই বৈঠকে?
মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, লোকসভা ভোটের জন্য এখনই বিজেপি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। মুসলিম সমাজের বিশিষ্টদের এই বিভাজনকামীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আসাদুদ্দিনের দল মিম নিয়েও সজাগ থাকতে বলেন। নীতীশের মতে, মিম আদতে বিজেপির বি টিম। আসাদুদ্দিনের মতো নেতারা ঘৃণা ভাষণ দিয়ে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছেন। আসলে মুসলিম ভোট ভাগ করাই বিজেপি-মিমের লক্ষ্য। বৈঠকে নীতীশ বলেন, তাঁর সরকার গত ১৮ বছর ধরে বিহারে মুসলিম সম্প্রদায়ের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: Bharata Jodo Yatra: আগামিকাল ফের শুরু ভারত জোড়ো যাত্রা, ঢুকছে উত্তরপ্রদেশে, মায়াবতীর শুভেচ্ছা
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে ব্যাপক ভাঙন ধরেছিল। সীমাঞ্চল এলাকায় বহু আসনে মিম প্রার্থী দিয়েছিল। নীতীশ মনে করেন, মিমের প্রার্থীরা ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছিলেন। এই কারণেই নীতীশ কুমার মুসলিম ভোট বিভাজন রুখতে সচেষ্ট হয়েছেন।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী সব দলকে এক জোট করতে চান। বিজেপির হাত ছেড়ে মাস কয়েক আগে জেডিইউ কংগ্রেস এবং আরজেডির হাত ধরে বিহারে সরকার গড়েন। তিনিই হন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই তিনি জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট গড়তে উঠেপড়ে লেগেছেন। নতুন সরকারেরও মুখ্যমন্ত্রী হয়েই নীতীশ দিল্লি যান। দেখা করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি প্রমুখের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নীতীশ কুমার বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ হওয়ার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছেন। তবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য তিনি আদৌ লালায়িত নন। বিজেপি বিরোধী জোট গড়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।