আহমেদাবাদ: সাল ২০০২। অযোধ্যা থেকে থেকে ফেরার সময় আহমেদাবাদের গোধরা স্টেশনে যাত্রী ও বিক্রেতাদের মধ্যে তর্কের জেরে সবরমতি এক্সপ্রেসের চারটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বহু লোক ট্রেনের ভিতরে আটকে যান। ৫৯ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর গোটা গুজরাত জুড়ে নির্বিচারে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার ২০ বছর পর আবারও সেই গণহত্যার মতো পরিস্থিতি গুজরাতে!
আহমেদাবাদ লাগোয়া সংখ্যালঘু প্রধান পিরানা গ্রামে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল আরএসএস সহ একাধিক দক্ষিণপন্থী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। গ্রামে ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের বাসিন্দারা দলে দলে পালাতে শুরু করেন। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রাণে বাঁচতে কয়েক হাজার গ্রামবাসী লাইন দিয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাইরাল ভিডিয়োয় এক ব্যক্তি গুজরাতের তামাম মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, আরএসএসের তিনশো-চারশো লোক পিরানা গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে অত্যাচার চালাচ্ছেন। প্রাণ বাঁচাতে তাই হাজার হাজার গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ওই ভিডিয়োতে দেখাও গিয়েছে হাজার হাজার মানুষ রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
২০০২ সালে সবরমতি এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যুর পরও শুরু হয়েছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর একযোগে হামলা। হামলাকারীরা বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি অক্ষত রেখে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রায় ২০০০-এর বেশি মুসলিমকে মাত্র কয়েকদিনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আহত হন আরও অনেলে। কিন্তু অফিসিয়াল ডেটায় দেখানাে হয়, মাত্র ৭৯০ জন মুসলিম নিহত হয়েছেন।