পাল্লেকেলে: নেপালের ২৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির জন্য ভারতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল অনায়াসে সেই রান তুলে নেয়। আর এই জয়রে কারণে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে চলে ভারত।
নেপালের বিরুদ্ধে রান পেলেন রোহিত শর্মা। ৩৯ বলে অর্ধশতরান করলেন ভারত অধিনায়ক। রোহিতের পরে অর্ধশতরান করেন শুভমন গিলও। ৪৭ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। ম্যাচ শেষে রোহিত শর্মার রান ৭৪ ও শুভমন গিলের রান ৬৭।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে ১০৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নেপালের ইনিংস। সেই নেপাল কি না ভারতের বিরুদ্ধে ২৩০ রান করে ফেলল! এমনকী প্রায় ৫০ ওভার ব্যাট করে নিল তারা। ক্রিকেট বিশ্বে ভারত সুপার পাওয়ার, নেপাল সেখানে দুধের শিশু, এখনও দাঁত ওঠেনি। তারাই যদি ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে এই রান তুলে দেয় তাহলে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান কী করবে?
টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিংও চরম হতাশাজনক। ম্যাচের একদম শুরুতে মাত্র কয়েকটা বলের ব্যবধানে সহজ ক্যাচ মিস করলেন শ্রেয়স আইয়ার, বিরাট কোহলি এবং ঈশান কিষাণ। তিনটে ক্যাচই এত সোজা যে ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও ধরে নেবে। নতুন বলে মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ কেউই উইকেট পেলেন না ওই ক্যাচ মিসের জন্য। ৯.৫ ওভারে শার্দূল ঠাকুরের হাত ধরে প্রথম উইকেট খোয়ায় নেপাল। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান উঠে গিয়েছে তাদের। রান রেট ৬.৫-এর উপরে।
ভারতের বিরুদ্ধে সাড়ে ছয়ের উপর গড়ে রান করছে নেপাল, এ দৃশ্য কল্পনাতীত। ধারাভাষ্যকাররাও বিস্ময় প্রকাশ করছিলেন। বিশ্বকাপে যদি এই মানের বোলিং-ফিল্ডিং হয় তবে কিন্তু বিপদ আছে। সিরাজ বেশ মার খেলেন, মার খেলেন শার্দূলও। হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা রানের গতিতে বাঁধ দেন। হার্দিক উইকেট পাননি তবে জাদেজা ৩ উইকেট তুলে নেন। ভারতের কৃপণতম বোলার কুলদীপ যাদব। ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়েছেন তিনি।
টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং এবার কী করে সেটাই দেখার। পাকিস্তানি পেসার শাহিনশাহ আফ্রিদি দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। নেপালের বিরুদ্ধে এই দু’জন তো বটেই, সবারই রান করার সুযোগ। অবশ্য রোহিত এবং কোহলিকে আটকানোর পরিকল্পনা আছে, জানিয়েছেন নেপাল অধিনায়ক। পডেল বলেন, “আমরা ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পেরে উত্তেজিত। ভারত বড় দেশ। বড় মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করতে উত্তেজিত বোধ করছি। বিরাট এবং রোহিত শেষ ১০ বছরের বেশি সময় তাঁদের দেশের তারকা।”
এরপরেই পডেল বলেন, “আমরা দুজনকেই সামলানোর পরিকল্পনা কষেছি, আশা করি মাঠে তা বাস্তবায়িত করতে পারব। মাঠে সেই খেলাই হবে যেটা আমরা দুই দলই জিততে চাই।” আজকের ম্যাচে কোহলিকে আটকাতে হলেও তিনিই যে নেপাল দলের সদস্যদের অনুপ্রেরণা তা জানিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমাদের সবার কাছেই বিরাট অনুপ্রেরণা, সেটা শুধু ওর কর্মনিষ্ঠার জন্য নয়, মাঠ এবং মাঠের বাইরে শৃঙ্খলার জন্যও।”