ক্যালিফোর্নিয়া: ২০২৩ সালের ফাস্ট কোয়াটার (First Quarter) অর্থাৎ প্রথম ত্রৈমাসিক শেষের পথে। এপ্রিল পড়লেই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (Second Quarter) শুরু হয়ে যাবে। জুনে গিয়ে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (Third Quarter) অ্যাপলের বড় ইভেন্টের আসর বসবে। প্রতিবছরই বসে থাকে। কিন্তু আইফোন (iPhone) লঞ্চ হয়, ওই তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে। আইফোন ১৫ নিয়ে ইতিমধ্যে অ্যাপল স্মার্টফোন প্রেমীদের (Apple Smartphone Lovers) আগ্রহ তুঙ্গে। গত বছর সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৪ লঞ্চ (Launch of iPhone 14) হয়েছিল। তখন থেকেই আইফোন ১৫ (iPhone 15) নিয়ে আগ্রহের সূচনা। কারণ, ২০২৪ সালের মধ্যে অ্যাপল ইউরোপ মহাদেশে (Europe) ফোন বেচতে গেলে ইউএসবি-সি (USB-C) দেওয়া আইফোন বাজারে আনতেই হবে। ২০২৩ সালের প্রায় শেষ লগ্নে আইফোন লঞ্চ করা মানে ২০২৪ সালেও ব্যবসা করবে সংশ্লিষ্ট সিরিজের ফোনগুলি। তাই আইফোন ১৫-এ ইউএসবি-সি চার্জিংয়ের সুবিধা থাকবেই থাকবে।
বর্তমানে অ্যাপল আইফোনের লেটেস্ট মডেল হলো, আইফোন ১৪ সিরিজ। তাতে লাইটনিং পোর্ট (Lightning Port) রয়েছে চার্জিংয়ের জন্য। আইফোন ১২ সিরিজ থেকে অ্যাপেলের চার্জিং কেবলে (Charging Cable) বদল এসেছে। চার্জিং ব্রিক (Charging Brick) অর্থাৎ অ্যাডাপ্টরের (Adapter) পোর্ট ইউএসবি-সি হয়েছে, কিন্তু ফোনের চার্জিং পোর্ট সেই লাইটনিং পোর্ট সাপোর্টেড। এবার সেটাই বদলাচ্ছে। প্রযুক্তির দুনিয়ায় উদ্বভাবনের (Innovation) দিক থেকে অ্যাপল অগ্রণী সংস্থা। তারা যা করে, সেটাই লক্ষ্যণীয়। লাইটনিং পোর্ট ছেড়ে অ্যাপল চার্জিং কেবলের দুই প্রান্তেই ইউএসবি-সি সুবিধা দেবে। পোশাকী ভাষায় যাকে বলা হয়, ইউএসবি-সি টু ইউএসবি-সি (USB-C to USB-C)।
এবিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা দিতে চলেছে অ্যাপল (Apple Inc)। আইফোন ১৪ সিরিজের জন্য সর্বোচ্চ চার্জিং স্পিড ২০ ওয়াট (Maximum Charging Speed 20W)। আইফোন ১৫-এ ২৭ ওয়াটের চার্জিং স্পিডের সাপোর্ট (27W Charging Speed Support) দেওয়া হবে। এখানেই রয়েছে অ্যাপলের স্পেশ্যাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি (Apple Special Marketing Strategy)। ২৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংয়ের (Fast Charging) সুবিধা নিতে হলে একমাত্র অ্যাপল-সার্টিফায়েড ইউএসবি-সি কেবলই (Apple-Certified USB-C Cable) কিনতে হবে। অন্য কোনও ব্র্যান্ডের চার্জিং কেবল কিনলে হবে না। অর্থাৎ অ্যাপল ইউরোপ মহাদেশে আইফোন বিক্রির জন্য আইনি জটিলতা এড়িয়ে নিয়ম মানতে চলেছে এবং নিজের বিজনেস স্ট্র্যাটেজি (Business Strategy) সেই অনুযায়ী বদল করতে চলেছে। মার্কেট এক্সপার্টদের (Market Experts) বক্তব্য, অ্যাপল আখেরে লাভবানই হতে চলেছে। আইফোন ১৫ সিরিজের ফোন বাজারে এলে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যাক্সেসরিজ (Accessories) বিক্রি করে অ্যাপল অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করবে।
বর্তমানে আইফোন ফোনের সঙ্গে আলাদা করে চার্জিং ব্রিক দেয় না। ইউজারদের আলাদা করতে কিনতে হয় অ্যাজাপ্টর। বর্তমানে অ্যাপল ২০ ওয়াটের ইউএসবি-সি অ্যাডাপ্টর এবং ৩০ ওয়াটের অ্যাডাপ্টর বিক্রি করে। কিন্তু কোনওটাতেই ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা নেই, যা অ্যান্ড্রয়েড পরিচালিত স্মার্টফোনের (Android Powered Smartphones) ক্ষেত্রে দেখা যায়। শোনা যাচ্ছে, আইফোন ১৫ সিরিজের ফোনে অ্যাপল চার্জিং কেবল নাও দিতে পারে। ইউজারদের আলাদা করে কিনতে হতে পারে। অর্থাৎ ফাস্ট চার্জিয়ের জন্য নতুন অ্যাডাপ্টর কিনতে হবে, আবার ফাস্ট চার্জিং কেবলও আলাদা করে কিনতে হবে। কেন না, কমপ্যাশিবিলিটি ইস্যুর (Compatibility Issue) কারণে ২০ কিংবা ৩০ ওয়াট (20W or 30W), কোনও চার্জিং ব্রিকই ফাস্ট চার্জিং দেবে না, ফাস্ট চার্জিং কেবল ব্যবহার করলেও।
প্রত্যাশা রয়েছে, ২০২৩ সালে আইফোন ১৫ সিরিজের মডেল লঞ্চ করার পর ২০ ওয়াটের ইউএসবি-সি চার্জার বিক্রি ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। অ্যাপলের আশা, ২৩০-২৪০ মিলিয়ন ইউনিট ফাস্ট চার্জিং ব্রিক বিক্রি হবে।