কলকাতা: আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানকে পুলিসই মেরে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করলেন পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার আনিস মামলার শুনানিতে তিনি অভিযোগ করেন, সংশ্লিষ্ট পুলিস কর্মীদের বাঁচানোর জন্যই এই লোক দেখানো তদন্ত চলছে। আইনজীবীর দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মৃত্যুর আগেই আনিসের দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এদিন আনিস খানের পরিবারের আইনজীবী আদালতে বলেন, ঘটনার দিন মাঝরাতে আনিস পাঁচিলের উপর বসে ছিল বলে পুলিস একটা তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করছে। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, পুলিস মাঝরাতে বাড়িতে এসে বাবাকে ডেকে উপরে গিয়ে আনিসকে মারধর করেছে। তারপর তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিসের দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিকাশরঞ্জন বলেন, কেউ স্বেচ্ছায় উপর থেকে ঝাঁপ দিলে তার শরীরে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে। আনিসের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও আঘাত নেই। তবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আদালত জানায়, পুলিসকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলেন। তারপর কী হল, পুলিসের রিপোর্টে সেসবের কোনও উল্লেখ নেই। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, আনিসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তাকে নোটিস পাঠিয়ে ডাকা যেত। কিন্তু সেসব কিছু করা হয়নি। তার বাড়িতে কোনও সমস্যা ছিল কি না, সেটা কি পুলিস তদন্ত করে দেখেছে?
আরও পড়ুন: Cyber Crime: সাইবার প্রতারণার শিকার মহিলা, টাকা চেয়ে শিশুকন্যাকে অপহরণের হুমকি
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, পুলিস চার্জশিট পেশের জন্য প্রস্তুত। দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তত্ত্বাবধানে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিস কর্মীদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্থানীয় উপপ্রধানের ভাইপো রাজা খানের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।