কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থা করার ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, কটুক্তি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর (Giyasuddin Mondal) বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। সেই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয় ওই প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে। সোমবার বারাসত কোর্টে তোলা হবে গিয়াসউদ্দিনকে।
শনিবার ভাইরাল হয় এক ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University Controversy) উপাচার্যের ঘরে ঢুকে একেবারে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। সেখানে ছিলেন আরও কয়েকজন বহিরাগত। তাদের মধ্যে একজন ভিডিয়োটি করেছেন। কিন্তু তাদের মুখের ভাষা এতোটাই অশালীন, যা প্রকাশের অযোগ্য। ভিডিয়োতে প্রাণনাশের হুমকি দিতেও শোনা যায় উপাচার্যকে।
যদিও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ওই ঘটনায় তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের যোগ মানতে নারাজ টিএমসিপির সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। রবিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভিডিয়োতে যে ছেলেদের দেখা গিয়েছে, তাদের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই । ২০১৭ সালেই দলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । শনিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেবল নিন্দনীয় নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বদনাম করার একটা চক্রান্ত ।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই মুখ খোলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আলিয়ার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটা বরদাস্ত করা যাবে না। যাঁকে এই অসভ্যতা করতে দেখা গিয়েছে সেই ছেলেটিকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটা পরিকল্পনা করে ভাইরাল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Alia University: তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার চক্রান্ত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বললেন কুণাল ঘোষ
অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিনের দাবি, পিএইচডি অ্যাডমিশন নিতে গেলে রেট নামে একটা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় কিছু ছাত্র যাদের পড়াশোনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাঁদের অ্যাডমিশন হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রদেরকে প্রশ্ন আগে থেকে দিয়ে দিয়েছিলেন উপাচার্য, অভিযোগ গিয়াসউদ্দিনের। সেকারণে তিনি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তিনি দেখা করেননি। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শেষে জোর করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে গিয়ে এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। গিয়াসউদ্দিন আরও জানান, ওইদিন তিনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, সমাজে একটি শিক্ষিত ছেলের মুখে তা নিন্দনীয়। সে কারণে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।