কলকাতা: তাঁকে অস্ত্রাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জুন মাসে এই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন জাদুঘরের ঘাতক সিআইএসএফ জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্র। কারণ তিনি মনে করছিলেন, ফাঁসানোর জন্যই তাঁকে অস্ত্রাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে দিন কয়েক আগেও স্ত্রীর কাছে এমন আশঙ্কার কথাই নাকি জানিয়েছিলেন ধৃত অক্ষয়। জেরায় এই কথাই পুলিসকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত। তবে, কি এই মানসিক অবসাদ, রাগ, ক্ষোভ এবং হতাশা থেকে শনিবার গুলি চালায় সিআইএসের জওয়ান? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিস।
জাদুঘরের পাশের কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের কাছেই সিআইএসএফের ব্যারাক৷ শনিবার সেই ব্যারাকেই চলে গুলি৷ তাতে মৃত্যু হয় এক সিআইএসএফের জওয়ানের৷ আহত হন রাজ্য পুলিসের এক আধিকারিকের৷ আততায়ীকে ধরতে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিস৷ দেড়ঘণ্টার অভিযানের পর অবশেষে পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এ কে মিশ্র নামে ওই জওয়ান৷
এরপর রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে সরকার পক্ষের আইনজীবী ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন করেন। ধৃতর পক্ষে সওয়াল-জবাবের জন্য কোনও আইনজীবী না থাকায় আগামী ২১ অগাস্ট পর্যন্ত অভিযুক্তের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।