রায়গঞ্জ: কোভিডে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি (Raigunj) হাসপাতালে মারা গেলেন এক ব্যক্তি। উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইটাহারের ঘেড়া গ্রামের বছর আটচল্লিশের রফিকুল ইসলাম ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তিনদিন আগে তার কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লে তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর চাউর হতেই প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। হাসপাতালে পৌঁছান রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস সহ অন্যান্য কর্তারা। তারা সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে পরিবারের লোকদের সঙ্গে সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্য পৌঁছে যান।
দেশজুড়ে মাথা চাড়া দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Corona infections)। ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। গত কয়েকমাস সে ভাবে কলকাতায় (Kolkata) করোনা না বাড়লেও। এর মাঝেই ফের উদ্বেগ ফিরল বাংলায়। করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri | জলপাইগুড়ির জল্পেশে হিমঘরের ছাদ ভেঙে পড়ল, অ্যামোনিয়া গ্যাসে অসুস্থ অনেকে
মৃত ওই ব্যক্তির নাম ভাস্কর দাস। বয়স ৭৬ বছর। সূত্রের খবর, রিজেন্ট পার্ক (Regent’s Park) এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর দাস করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কয়েকদিন আগে তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই বৃদ্ধ গলা ব্যথার উপসর্গ নিয়ে তিন দিন আগে বাঘাযতীনের বেসরকারি হাসপাতালে (Baghayatin private hospital) ভর্তি হন। করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসে। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকাল ১১টায় মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। বৃদ্ধের মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে হাসপাতাল। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেলেঘাটা আইডি-তে (Beliaghata ID) ভর্তি ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে ছিল। ঊর্মিলাদেবী নামে ৮১ বছরের ওই বৃদ্ধার।
বৃহস্পতিবার সকালের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৮ জন। বুধবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৩০। অর্থাৎ একদিনে প্রায় ৩ হাজার বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় সাত মাস পর দেশে ১০ হাজারের গণ্ডী পেরোল করোনা।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আবার করোনাভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বঙ্গে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। মঙ্গলবার সব থেকে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছে খাস কলকাতাতেই। সেই সংখ্যাটা ১৭ জন। এখনও পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩৭০ জন। বয়স্ক বা কো-মর্বিডিটি যাঁদের রয়েছে, তাঁরাই সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবে হাসপাতালগুলিতে আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখন দেশের নাগরিকদের মধ্যে টিকা নেওয়ার হার অত্যন্ত কমে গিয়েছে। টিকা দেওয়ার হারও তাই কমে যাওয়ায় রাজ্যগুলিও কেন্দ্রের থেকে টিকা চাইছে না। দেশে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী আট থেকে দশ দিন সংক্রমণ বাড়বে।