নয়াদিল্লি: প্রথমে আবেদন৷ তার পর আলোচনা৷ দু’টোতেই কোনও কাজ না হওয়ায় এবার ইটের জবাবে ব্রিটেনকে (Britain) পাটকেল ছোড়ার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার৷ ভারতীয়দের জন্য যে বৈষম্যমূলক কোয়ারেন্টাইন নীতি বরিস জনসন (Boris Johnson) সরকার গ্রহণ করেছে সেটাই ব্রিটিশ নাগরিকদের উপর লাগু করবে দিল্লি (Delhi)৷ সূত্রের খবর, আগামী সোমবার থেকে ভারতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিকদের চলে যেতে হবে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে৷ যতই তাঁদের করোনা ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ নেওয়া থাক না কেন, ব্রিটিশদের জন্য ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক৷
আরও পড়ুন: এয়ার ইন্ডিয়া কি টাটার গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে? কী বলল কেন্দ্র
ভারতীয়দের প্রতি বরিস জনসন সরকারের বৈষম্যমূলক কোয়ারেন্টাইন নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত৷ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিল৷ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গিয়ে দেখা করেছিলেন ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে৷ দু’জনের মধ্যে আলোচনাও হয়৷ কিন্তু আলোচনা থেকে ইতিবাচক কোনও পথ বেরিয়ে আসেনি৷ তার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতও জানিয়েছিল, ব্রিটিশ সরকার যদি ওই বৈষম্যমূলক কোয়ারেন্টাইন নীতি বদল না করে সেক্ষেত্রে তারাও একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে৷
তবে সেটা যে নিছক কথার কথা না তা ব্রিটেনকে বোঝাতে তৎপর হচ্ছে ভারত৷ বিদেশমন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ব্রিটেন থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের তিনবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে৷ যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে৷ তার পর এয়ারপোর্টে নামার পর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হবে৷ আবার ৮ দিনের মাথায় তিন নম্বর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হবে৷ মাঝের ১০ দিন ওই ব্রিটিশ নাগরিককে ভারতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷ ঘটনাচক্রে, ওই দিন থেকে ব্রিটেনেও ভারতীয়দের জন্য এই কোয়ারেন্টাইন নিয়ম চালু হচ্ছে৷ কোভিশিল্ডের দুটো ডোজ নেওয়া থাকলেও ভারতীয়দের ওখানে ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷ আর কোয়ারেন্টাইনে থাকার সমস্ত খরচ ওই ব্যক্তির৷
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নারীদের পাচার নিয়ে গবেষণা, আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলেন অসমের সাংবাদিক
যদিও ব্রিটিশ আধিকারিকরা গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, সমস্যাটা টিকা নিয়ে নয়৷ সমস্যাটা ভারতের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিয়ে৷ তখন ভারতের ন্যাশনাস হেলথ অথরিটির সিইও ড. আর এস শর্মা বলেছিলেন, করোনা টিকাদান পদ্ধতি কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পিত নীতি যা কো-উইন অ্যাপ এবং পোর্টালের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠি মেনে এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে৷