বুধবার নবান্নে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রাজ্য সরকারের তরফে যশে ক্ষয়ক্ষতির যে পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছে। তাঁর যশের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে এদিন নবান্নে তাঁরা বৈঠক করলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গে। বৈঠকে যশের কারণে রাজ্যের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে রাজ্যের দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সহমত পোষণ করেন। রাজ্যের তরফে আরও জানান হয়েছে, জল নামলেই ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সংস্কার করতে ও ত্রাণ দিতে হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখনও যা ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে তা সামাল দিতে প্রাথমিক ভাবে ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন। রাজ্যের বিপর্যয় তহবিলে এই মুহূর্তে কোন টাকা নেই। এই টাকা জরুরিভিত্তিতে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন মুখ্যসচিব।
অবশ্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল প্রাথমিক পর্যায় সামাল দিতে ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে না। তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাতে কাজ করার রাজ্য সরকারের যে প্রস্তাব রয়েছে। তার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে প্রতিনিধি দল মনে করে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোর স্হায়ী সংস্কার করা, নদীবাঁধগুলো কংক্রিটের করা, বাড়ি, রাস্তা মেরামত করা। এরজন্যে রাজ্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিনিধি দল বৈঠকে জানিয়েছে, কাঁচা নদীবাধের জন্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়েছে। দ্রুততার সাথে তা কংক্রিটের করা প্রয়োজন বলে তাঁরা রাজ্যকে সুপারিশ করেছে। ২০ হাজার কোটি টাকার যৌক্তিকতা রয়েছে বলে তাঁরা রাজ্যের দেওয়া প্রস্তাবের সঙ্গে একমত। রাজ্যকে জানিয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাবগুলো রিপোর্ট আকারে দিল্লিতে তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে জানাবে। অবশ্য প্রান্তিক এলাকায় এখনও পর্যন্ত বহু জায়গা রয়েছে, সেখানে ত্রাণ পৌঁছয়নি। সর্বত্র যাতে সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ গিয়ে পৌঁছয় । সেদিকে রাজ্যকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ছবি: ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল