‘বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু ফেঁসে গেছে। তাই শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে বাঁচাতে এবং নিজের পদ বাঁচাতে বারবার দিল্লি দৌড়চ্ছেন। এদিকে বিজেপিরও মোহভঙ্গ হয়েছে। বিজেপি বুঝেছে এরাজ্যে সরকার পাল্টাতে গেলে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকে দলে নিলে বা তাঁর ওপর নির্ভর করলেই হয় না। তাই শুভেন্দু অধিকারী বারবার দিল্লি দৌড়ে সেখানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের সঙ্গে দেখা করে, যে ধরনের কথা তাঁরা শুনতে পছন্দ করেন, সে ধরনের কথা তাঁদেরকে বলছে।’ বুধবার এই ভাষাতেই দল বদল করা নেতাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন রাজ্যের পরিবহন ও আবাসন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘এরাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ, রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা সহ বিজেপি নেতাদের পছন্দের কথা বলে তাদের প্রিয়ভাজন হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী।’
তিনি জানান, যে বা যারা কোন মোহের বশে বা কোন বড় কিছুর লোভে বিজেপিতে গিয়েছিল তাঁদের দেরিতে হলেও মোহভঙ্গ হয়েছে। এটা শুভ লক্ষণ। যারা বিজেপিতে গিয়েছিল তাঁরা এখন বুঝতে পারছে, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আছেন থাকবেন। বিজেপিতে থাকা অবস্থাতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তদের বেসুরো মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই ভাষাতেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন ফিরহাদ।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণে দিন দিন যেভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, আগামী দিনে মানুষ ব্যাগ ভর্তি করে টাকা নিয়ে বাজার করতে যাবে আর ঠোঙায় করে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এখনই কেন্দ্রীয় সরকার যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে রাজ্য সরকারের পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রাইভেট পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, আর এর ফল ভুগতে হবে সাধারণ মানুষকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও এই উদ্বেগের কথা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হয়েছে।’
বাইট ফিরহাদ,,,,