কলকাতা: শুক্রবার রাতে ডাউন শান্তিপুর লোকালে (Shantipur Local) শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত৷ ধৃতের নাম সঞ্জয় কুমার সাউ। দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দমদম জিআরপি থানার পুলিস। বাড়ি খড়দহের রহড়া বাজারে। ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। ফাঁকা লোকাল ট্রেনে উঠে মেয়েদের কাছ থেকে ছিনতাই, উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার দমদম থেকে শিয়ালদহের মধ্যে একদম ফাঁকা মহিলা কামরায় নির্যাতিত তরুণী একাই ছিলেন। দমদম থেকে ওঠা এক যুবক পরপর দু’বার তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে, মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়েরও হুমকি দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাটি তরুণী বুদ্ধি খাটিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন। বিষয়টি নিয়ে শনিবার সকাল থেকে তোলপাড় চলছে।
এমনিতেই ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে রাতে মহিলা কামরায় নিরাপত্তার কোনও বালাই থাকে না বলেই অভিযোগ। এর আগে রেল বহুবার দাবি করেছে, মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের অগ্রাধিকারে থাকে সবসময়। কিন্তু রেলের এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক। মহিলা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা হল, দিনে বা রাতে কখনওই মহিলা কামরায় পুলিস দেখা যায় না। কোনও ঘটনা ঘটলে তার পরে দিন কয়েক একটু নড়েচড়ে বসে পুলিস। মহিলা কামরায় তখন দু-চার দিনের জন্য পুলিস চোখে পড়ে। উত্তেজনা একটু থিতিয়ে যেতেই আবার আগের পরিস্থিতি ফিরে আসে।
ওই তরুণী জানান, ফুলিয়া থেকে শান্তিপুর লোকালের মহিলা কামরায় ওঠার পর কখনওই পুলিসের দেখা মেলেনি। দমদমের আগে পর্যন্ত অবশ্য ট্রেনে যাত্রী ছিল। কিন্তু দমদমের পর থেকে মহিলা কামরায় তিনি একাই ছিলেন। তখনও কোনও পুলিস দেখতে পাওয়া যায়নি। তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি দু’বার চেনও টানেন কিন্তু একবারের জন্যও ট্রেন থামেনি। এখানেই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুন- Woman Harassment in Local Train: ফেসবুক লাইভ করে শান্তিপুর লোকালে শ্লীলতাহানি রুখলেন তরুণী
রাতের ট্রেনে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এমনকী মহিলা কামরায় শ্লীলতাহানির ঘটনাও খুব বিরল নয়। বেশি রাতে লোকাল ট্রেনে অনেক যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় অসভ্যতা করে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের ওই বিচিত্র পরামর্শের একটাই অর্থ দাঁড়ায়, মহিলাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।
জনসংযোগ আধিকারিক এদিন জানান, ট্রেনে এবং স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। পুলিসের টহলদারি আরও বাড়ানো হবে।