কলকাতা: প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছিল কসবার ভুয়ো টিকা-শিবির৷ সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের পরই ফাঁস হয় একের পর এক বেনিয়ম৷ এই ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার৷ তাই কসবা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন। যেখান সেখানে টিকাকরণ ক্যাম্প বন্ধ করতে কড়া নিয়ম জারি করল সরকার। এ বার থেকে টিকাকরণ ক্যাম্পের আয়োজন করতে স্বাস্থ্য ভবনের আগাম অনুমতি লাগবে৷ জেলায় জেলায় এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার অজুহাতে মেরে ফেলা হল ২০০ র বেশি সারসকে
৭ পাতার বিবৃতিতে পরিস্কার বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য দফতরকে না জানিয়ে কোনও টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা যাবে না৷ কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্যাম্প করতে চাইলে নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কলকাতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবনের এডিএইচএস এবং জেলার ক্ষেত্রে সিএমওএইচের অনুমতি লাগবে৷
শিবির শেষে স্বাস্থ্য দফতরকে খুঁটিনাটি সব তথ্য দিতে হবে৷ যেমন, কারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে, কতজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে, কত টিকা মজুত রয়েছে ইত্যাদি। কত জনকে টিকার দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে, ক’জন একটি ডোজ নিয়েছেন সে সব তথ্যও সপ্তাহের শেষে লিখিত আকারে নোডাল অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে৷
আরও পড়ুন: টেনশনে ঘুম ছিল না রাতে, আপাতত সুস্থ মিমি
স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন পেলেই তবে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা যাবে৷ সেই অনুমোদন পত্র টিকাকরণ কেন্দ্রে রাখতে হবে৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রত্যেক গ্রাহককে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে৷ কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকাকরণ কেন্দ্রের আয়োজন করতে হবে৷ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত না থাকলে কেউ ভ্যাকসিন পাবেন না।