কলকাতা: জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগ (GTA Teachers Recruitment Case) মামলায় এফআইআর করল রাজ্য সরকার (WB State Government)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ওই এফআইআরে নাম রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। বৃহস্পতিবার বিধাননগর উত্তর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই দুর্নীতিতে আগেও অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রথম রাজ্য সরকারের তরফে এফআইআর করা হল।
জিটিএ-তে নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে নাম রয়েছে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাহাড়ের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিনয় তামাং-এরও। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড়ের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় , বিনয় তামাং ছাড়াও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হাবড়ার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বুবাই বোসের নামেও এফআইআর করা হয়েছে। এই প্রথমবার রাজ্যের করা এফআইআরে যুক্ত করা হয়েছে প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট বা দুর্নীতি দমন আইন। অভিযোগ পাহাড়ে প্রায় ৭০০ শূন্যপদে নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। টাকার বিনিময়ে শিক্ষা দফতরের নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হয়েছে স্কুলগুলিতে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থর বিরুদ্ধে এফআইআর রাজ্য সরকারের
গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই তড়িঘড়ি রাজ্য পুলিশ এফআইআর করল। সিপিএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষা দফতরের এক অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা শুরু। হাইকোর্ট বিধাননগর উত্তর থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করে বলে, কেন আপনি এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেননি। এখন সিবিআইয়ের হাতে যাতে তদন্তের দায়িত্ব না যায়, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুলিশ এফআইআর করেছে বিষয়টি ঘেঁটে দেওয়ার জন্য। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হবে না।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও বলেন, এতদিন রাজ্য পুলিশ চুপ করে বসেছিল। হাইকোর্ট সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতেই পুলিশ নড়েচড়ে বসেছে। আমরা চাই, তদন্ত ঠিক পথে হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।
অন্য খবর দেখুন