কলকাতা : কেন্দ্র চেয়েছিল জ্বালানি তেলে জিএসটি বসাতে৷ কারণ হিসেবে বলেছিল, জিএসটি বসালে নাকি তেলের দাম কমবে৷ কিন্তু, গত সপ্তাহে লখনউতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামনের নেতৃত্বাধীন জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জিএসটি বসানোর ক্ষেত্রে তীব্র আপত্তি তোলে দেশের সব কটি রাজ্য৷ বিশেষ করে উত্তর প্রদেশের বিজেপি শাসিত যোগী আদিত্যনাথের অর্থমন্ত্রী কড়া ভাষায় জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ জানান৷
বুধবার সে-সব কথা বেমালুম ভুলে জ্বালানি তেলে জিএসটি বসাতে না পারার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুললেন বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি৷ যেন বোঝাতে চাইলেন, তৃণমূলের জন্য জিএসটি বসানো সম্ভব হয়নি ৷ অর্থাৎ, ফের এক বার রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করল বিজেপি ৷
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পেট্রোলের দাম পার করেছে সেঞ্চুরি। ডিজেলের দামও ক্রমশই বাড়ছে। এরইমধ্যে কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আশা ছিল পেট্রোপণ্যের উপর জিএসটি বসানোর ফলে কমবে জ্বালানির দাম। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল থেকে শুরু করে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে একযোগে বিরোধিতা করেছিল সব ক’টি রাজ্যই। বাদ যায়নি যোগী রাজ্য থেকে শুরু করে সবকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যও।
আরও পড়ুন – অঙ্ক শেখেননি অখিলেশ, কটাক্ষ যোগীর
১৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-এর নেতৃত্বে লখনউয়ে বসেছিল ৪৫-তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। রাজ্য গুলির বিরোধিতা এই বৈঠকে এতটাই তীব্র হয় যে, পেট্রোপণ্যে জিএসটি বসানোর বিষয়টি নিয়ে সে-ভাবে আলোচনাই করা যায়নি। সেদিন সন্ধ্যায়ই সাংবাদিক বৈঠক করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, এখনই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা হচ্ছে না। ফলে, আকাশছোঁওয়াই থাকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
আরও পড়ুন – যোগীর বিরুদ্ধে মামলা করায় মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন সমাজকর্মী
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না আসার কারণ হিসেবে শুধুমাত্র তৃণমূলকে দোষারোপ করেন। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছেন, জ্বালানির উপরে জিএসটি বসালে সেক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত এক সমান ভাগ পাবে কেন্দ্র রাজ্য এবং এক ধাক্কায় দাম কমবে লিটার পিছু পেট্রোল-ডিজেলের।
আরও পড়ুন – সময় দিলেন না অধ্যক্ষ, বুধের বদলে বৃহস্পতিতে ইস্তফা বাবুলের
এক্ষেত্রে রাজ্যের বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করে যোগী সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত এই বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছিল। এরপরেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে সব রাজ্য একযোগে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। সেখানে সুকান্ত মজুমদার শুধুমাত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীভাবে তোপ দাগলেন।