দেবাশিস দাশগুপ্ত: ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Allaince) প্রধানমন্ত্রী-মুখ হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Congress president Mallikarjun Kharge) নাম প্রস্তাব করলেও রাজ্য কংগ্রেস নেতারা তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কে কী প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক হল আক্রমণকারী এবং আক্রান্তের মতো। আজও জেলায় জেলায় আমাদের কর্মীরা তৃণমূলের হার্মাদদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কাজেই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সৌম্য বলেন, রাজ্যে কংগ্রেস কর্মীরা যখন তৃণমূলের হাতে মার খাচ্ছেন, তখন নিশ্চয়ই আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। এখনও বলছি, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার কোনও প্রশ্ন নেই, নেই নেই।
আগামিকাল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সব রাজ্যের কংগ্রেস নেতাকে জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন। কাল সনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সংসদীয় দলেরও বৈঠকে হাজির থাকবেন।
আরও পড়ুন: আসন সমঝোতার জন্য ৫ সদস্যের জাতীয় কমিটি কংগ্রেসের
এক ধাপ এগিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, আগে সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি স্থির হল না। আসন সমঝোতার কিছু হল না। আগে থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ প্রস্তাব করার মানে কী ? সিপিএম নেতা বলেন, আগে জোট জিতে আসুক। তারপর প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা ভাবা যাবে। এর আগে ইউপিএ জোটের সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি ছিল। প্রধানমন্ত্রী ঠিক হয়েছেন ভোটের ফল প্রকাশের পর। তিনি বলেন, আসলে তৃণমূল সব ঘেঁটে দিতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন। তিনি সব গুলিয়ে দিতে চাইছেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, কংগ্রেস বড় দল। আমাদের নেত্রী তো কংগ্রেস সভাপতির নাম প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রস্তাব করে ঠিকই করেছেন। রাহুল গান্ধীকে তাঁর দলই কংগ্রেস সভাপতি করেনি। এতে আমাদের কী করণীয়। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, এই বিরোধী জোটের ভবিষ্যত ভূতের ভবিষ্যতের থেকেও খারাপ।
আরও অন্য খবর দেখুন