কলকাতা : পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় (Park Street Rape case) নয়া মোড়। নিম্ন আদালতের শুনানির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানাল হাইকোর্ট।
এর আগে এই মামলার ৬ সাক্ষীকে ক্রস এক্সামিনেশন করার জন্য নিম্ন আদালতে আবেদন করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে অভিযুক্ত পক্ষ। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে বিষয়টি ওঠে। বিচারপতি মান্থা নিম্ন আদালতের বিচারের উপরই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন।
আরও পড়ুন : লখনউ-মুম্বইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে গণধর্ষণের শিকার যুবতী
২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এক তরুণীর সঙ্গে পার্কস্ট্রিটের কোনও একটি নাইট ক্লাবে ৫ তরুণের সঙ্গে আলাপ হয়। তরুণীকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই তরুণরা। পথে গাড়িতেই তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গভীর রাতে এক্সাইড মোড়ের কাছে চলন্ত গাড়ি থেকে তরুণীকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে একটি ট্যাক্সি ডেকে কোনও মতে তরুণী বেহালায় নিজের বাড়িতে ফেরেন।
পরবর্তীকালে ২ সন্তানের জননী ৩৭ বছর বয়সি তরুণীটি নিজের নাম প্রকাশে রাজি হন। সুজেট জর্ডন নামে ওই তরুণী বলেন, ‘কেন আমার পরিচিতি লুকিয়ে রাখব ? ওই ঘটনায় আমার কোনও দোষ ছিল না। আমি নির্যাতিত হয়েছি। এতে আমার কোনও লজ্জা নেই। এর বিরুদ্ধে আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’ পরে অবশ্য মৃত্যু হয় জর্ডনের। তাঁর মৃত্যু সময় ৫ অভিযুক্তের মধ্যে ৩ জন ধরা পড়ে। মূল অভিযুক্ত কাদের খান ২০২০ সালে নয়ডা থেকে গ্রেফতার হয়। সে এখনও জেলে রয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে সে সময় কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে তোলপাড় হয়। অভিযোগ ওঠে, শাসক দলের মদতে মূল অভিযুক্ত কাদেরকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও শাসক তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বকার করে। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন। বৃহস্পতিবারের শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।