কলকাতা: আইনি জটিলতায় আটকে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা অংশের কাজ। মঙ্গলবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মেট্রো কতৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, মাটি খোঁড়ার কাজ শুরুর আগে মাটি পরীক্ষা বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য অনুমতি দিক হাইকোর্ট। এদিন তাতেও আপত্তি জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১০ সালে কাজ শুরু হলেও আইনি জটিলতায় আটকে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের একাংশের কাজ। কারণ মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা তিনটি স্টেশন সেনা এলাকায়। ফলে, এই এলাকায় কাজের জন্য সেনা অনুমতি প্রয়োজন। অথচ সেনা কোনও ভাবেই রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) কে কাজের অনুমতি দিচ্ছে না সেনা।
রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড ও সেনাদের মধ্যে সমন্নয়ের অভাব। সেই কারণে বোরিং এর কাজ করতে পারছে না টিবিএম (টানেল বোরিং মেশিন)। সেই অনুমতির জন্য হাই কোর্টের কাছে গিয়েছিল রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড।
আরও পড়ুন – দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ভিড় , করোনা অজুহাতে বিজেপির মিটিং-মিছিলে বাধা, দাবি নতুন সভাপতির
এই বিষয় ৩ সপ্তাহ সময় নিয়য়েছিল সেনা। সে-দিনই সেনাবাহিনীর এলাকায় মেট্রো খনন নিয়ে হাই কোর্টে নিজেদের অবস্থান জানাবে সেনা। যার উপর নির্ভর করবে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোর ভবিষ্যৎ। সেই ৩ সপ্তাহ হওয়ার আগেই আদালতের কাছে মাটি পরীক্ষা বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য অনুমতি চাইল রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড।
আরও পড়ুন – জন বার্লার ‘পৃথক রাজ্যে’র দাবির সাফাই সুকান্তের
এই বিষয়ে মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে, পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা করেই কাজ স্থগিত রয়েছে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার তথা সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানা জরুরী। আগামী ১০ নভেম্বর সেনা তাঁদের বক্তব্ব্য জানাবে আদালতকে। জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো জট কাটাতে সেই দিনই রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডকেও নিজেদের পরিকল্পনা হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নিরদে্শ দিল আদালত।