কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহার জেলার শীতলকুচির জোর পাটকিতে গুলি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে ওই ঘটনার রিপোর্ট জমা দিল সিআইডি।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির জোর পাটকি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন গ্রামবাসী মারা যান। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করলেও পরে সিআইডি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। এবিষয়ে একটি সিট গঠন করে সিআইডি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হয়।
আরও পড়ুন – শোভাযাত্রা নয়, জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতীকী বিসর্জন, পুজো কমিটির মামলায় রায় হাই কোর্টের
গত ১২ এপ্রিল প্রথম শীতলকুচি-কাণ্ডে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে হলফনামা চায় আদালত। এরপরেই বৃহস্পতিবার সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল সিআইডি। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছরে অর্থাত্, ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি করা হবে। পরবর্তী শুনানি আগে সিআইডি নিজেদের রিপোর্টে মামলাকারীদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেবে আদালতকে।
সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে ২৪ জুলাই শীতলকুচি গুলি কাণ্ডে সিআইএসএফের ৬ জওয়ানকে ভবানীভবনে তলব করে সিআইডি। যদিও এদিন সিআইডির তরফে জানানো হয়, সিআইএসএফ জওয়ানদের সামনাসামনি জেরা করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়নি। বলা হয়েছে সিআরপিএফ শুধুমাত্র ভার্চুয়াল জেরাতেই সায় দিয়েছেন।