কলকাতা : করোনাকালে অর্থাৎ ২০২০ সালে বয়স্কদের ঠাকুর না দেখার আবেদন করেছিলেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা । এখনও করোনার প্রকোপ কমেনি। ফলে, এই বছর শিশুদের দূরে রাখার আবেদন করলেন সকল বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। কারণ শিশুদের টিকা হয়নি। ফলে সাময়িক আনন্দ ক্ষতির কারণ হতে পারে শিশুদের জীবনে বলে চিন্তিত চিকিৎসক মহল।
মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিং এর সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকজন বিশিষ্ট চিকিৎসকদের একটি দল । উপস্থিত ছিলেন দিপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী ও অগ্নিমিত্রা গিরি সরকারসহ বেশ কিছু বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা।
গত দুদিনের মত সপ্তমীর সকাল থেকেই উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে। বয়স ভিত্তিক কিছু মানুষের করোনা টিকা হলেও শিশুরা এখনো টিকা পাইনি। কিন্তু যেভাবে প্রতিমা দেখার ভিড়ে সকল বয়সের সঙ্গে শিশুরা মিলিত হচ্ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন- বাঙালির শারদোৎসবের আনন্দে মাতে মুসলিম, ধূপগুড়ির পুজোয় সম্প্রীতির ছবি
তাঁদের বক্তব্য সাময়িক আনন্দের জন্য শিশুদের ভীড় বর্জন করানো উচিত তাঁদের অভিভাবকদের। না হলে যেভাবে কম শতাংশের হিসেবে হলেও যে ভাবে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে তাতে আগামীতে বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে শিশুরা। বিশিষ্ট চিকিৎসক দিপ্তেন্দ্র সরকার জানান প্রয়োজনে বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় বাচ্চাদের পুজো দেখানোর বন্দোবস্ত করা উচিত অভিভাবকদের।
অন্যদিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অগ্নিমিত্র গিরি সরকার জানান, শিশুদের জন্য অতি দ্রুত টিকা আসতে চলেছে দেশে। সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এই সময় গত বছর যে ভাবে বয়স্কদের পুজো থেকে দূরে রাখা হয়েছিল এই বছর শিশুদের প্রতিমা দর্শন থেকে বিরত রাখা উচিত। না হলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।