কলকাতা : রাজ্য সরকারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কলকাতা হাইকোর্টের। অবসর নেওয়ার পরেও কতজন সরকারি আবাসন এবং সরকারি সম্পত্তি দখল করে রেখেছে তার চূড়ান্ত তালিকা পেশ করেনি রাজ্য। সেই কারণেই এই আর্থিক জরিমানা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
চন্দ্রাবতী দেবী নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ১৯৯৩ সালে তাঁর স্বামী পুলিশে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অথচ তিনি পেনসন অনেক কম পাচ্ছেন। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে জানিয়েছে, চন্দ্রাবতী দেবী এখনও সরকারি আবাসনে থাকেন। সেই কারণেই তাঁকে কম পেনশন দেওয়া হচ্ছে।
এরপরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর এখনও পর্যন্ত সারা রাজ্যে কতজন সরকারি আবাসন দখল করে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার চূড়ান্ত তালিকা-সহ রিপোর্ট হলফনামা আকারে আদালতে জমা দেওয়ার।
আরও পড়ুন – বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিকে কলকাতা হাইকোর্টে ফেরানোর প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ নিয়ে চন্দ্রাবতী দেবীকে কোয়াটার থেকে উচ্ছেদ করেন রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে চন্দ্রাবতীর পক্ষের আইনজীবী অলক দাস আদালতে জানান, রাজ্য সরকার ১৯৮৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্ট অকুপেন্সি আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা সঠিক নয় সম্পূর্ণ বেআইনি। বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবি।
আরও পড়ুন – ED দিয়ে কলকাতা টিভিকে দমানো যাবে না: সৌগত রায়
এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান শুধুমাত্র চন্দ্রাবতী দেবীর ক্ষেত্রেই কী এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কেন রাজ্য সরকার সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দিল না? এগুলি জিজ্ঞেস করা হয় সরকারের আইনজীবীকে।
এরপরেই বিচারপতি রাজ্যকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। ২৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ঐদিন রাজ্যকে সমস্ত রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।