কলকাতা: বিতর্ক এবং তথাগত রায় যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে৷ একুশের বিধানসভা ভোটের ফল বের হওয়া ইস্তক নিয়ম করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ মেনন এবং দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি৷ তবে অতীতের সব আক্রমণকে ছাপিয়ে গেল তথাগতর এদিনের টুইট৷ বিজেপি থেকে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিদায়ের পরই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি৷ যা দেখে তথাগতর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ৷
আরও পড়ুন: ‘ঘাড় থেকে ভূত নামল’, ‘নগরীর নটীর’ বিদায়ে স্ব-মেজাজে তথাগত, আরও চওড়া হচ্ছে বিজেপির ফাটল
কী লিখেছেন তথাগত? মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন৷ কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি?’’
আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি ? https://t.co/ZTTS83HULI
— Tathagata Roy (@tathagata2) November 11, 2021
তথাগতর এই টুইটের প্রেক্ষিতে নেটিজেনদের প্রশ্ন, কৈলাস বিজয়বর্গীয় নারী চক্রের সঙ্গে জড়িত এটা বোঝাতেই কি বোমা ফাটালেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি? কিছুদিন আগে তিনিই তো টুইটে লিখেছিলেন, অর্থ এবং নারী চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক৷ নইলে ৩ থেকে ৭৭ (বর্তমানে ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই টুইটে তথাগত রায় বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, অর্থ এবং নারী চক্রেই বঙ্গ বিজেপির সংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে৷ যে কারণে বিজেপির বর্তমানে এই অবস্থা৷ আর এদিনের টুইটেই খোলাখুলি বুঝিয়ে দিলেন কারা কারা নারী চক্রের সঙ্গে জড়িত৷
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর
প্রবীণ নেতার টুইটের পরই দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ যারপরনাই বিব্রত দলের ক্ষমতা শিবিরের নেতারা৷ অবিলম্বে তথাগতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে৷ সুরজিৎ সাহার উদাহরণ টেনে তাঁদের যুক্তি, শুভেন্দুকে সামান্য ‘চোর’ বলার জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় হাওড়া জেলা সভাপতিকে৷ আর এদিকে তথাগতবাবু নিয়ম করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন৷ তাহলে তিনি যে কিছুদিন আগে ‘গুপ্ত কথা ফাঁসের’ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সেই ভয়ে বিজেপি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরে৷