কলকাতা: সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সহ তিন পুলিশ অফিসারকে তলব করল লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি (Lok Sabha Committee for Protection of Rights)। ওই তিনজনকে আগামী সোমবার দিল্লিতে কমিটির কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বাকি দুই অফিসার হলেন বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মহম্মদ রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার পার্থ ঘোষ। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত অভিযোগ করেছেন, তাঁকে সন্দেশখালিতে যেতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, তাঁর উপর হিংস্র আক্রমণ হয়েছে। তাঁর প্রাণহানির চেষ্টা হয়েছে। এর জন্য ওই পুলিশ অফিসাররা দায়ী।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তখন অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি। টাকিতে সুকান্ত মজুমদার আহত হন বুধবার। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি। সেই ঘটনায় লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি পদক্ষেপ করল বৃহস্পতিবার। জানা গিয়েছে, রাজীব কুমার ছাড়াও বসিরহাটের পুলিশ সুপার হুসেন মেহেদি রহমান এবং উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে তলব করা হয়েছে। তাঁদের ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে হাজিরা দিতে হবে।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের। সুকান্তর অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ যেতে বাধা দেয়। তখন পুলিশ লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। উল্টো দিকে বিজেপির লোকজন ইট ছোড়ে বলেও অভিযোগ। টাকিতেই অসুস্থ সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তিনি। প্রবল ঝাঁকুনিতে গাড়ি থেকে পড়ে যান। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। এনিয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ জানান সুকান্ত।
আরও পড়ুন: পঞ্জাব সফর বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর, কৃষক আন্দোলনে পাশে থাকার বার্তা
প্রসঙ্গত, শাসকদল অভিযোগ করছে, সিপিএম এবং বিজেপি সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তুলেছে। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার বলে মনে করছে রাজভবন। রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালি নিয়ে যে রিপোর্ট কার্ড (Report Card) পেশ করেছেন, তাতে সন্দেশখালির ঘটনা ভয়াবহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। রাজ্যপাল চান, রাজ্য মহিলা কমিশন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিক। রাজ্য সরকার দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।
অন্য খবর দেখুন