কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শেখ সুফিয়ানের (Seikh Sufian) উপর থেকে রক্ষাকবচ তুলে নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে শেখ সুফিয়ান আগাম জামিনের আর্জি জানালে, সোমবার তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে, নন্দীগ্রামে (Nandigram) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ানকে গ্রেফতারে আর কোনও বাধা রইল না সিবিআইয়ের। ভোট পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সুফিয়ানের।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। তেমনই একটি খুনের মামলায় জড়িয়ে পড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ানের নাম। গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্টও ছিলেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর চিল্লোগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে শেখ সুফিয়ানের নাম। ৩ মে নন্দীগ্রামে ওই বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল। ১৩ মে কলকাতায় চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সিবিআই এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়ে দেবব্রত মাইতির বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই তলব করা হয় শেখ সুফিয়ানকে। কিন্তু একাধিকবার নানা অছিলায় সিবিআইয়ের জেরা তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন : রাকেশ সিংয়ের জামিনে বন্ড বিভ্রান্তি দূর করল হাইকোর্ট
যদিও এই মামলার সঙ্গে তাঁর যোগ নেই বলেই প্রথম থেকে দাবি করে আসছেন শেখ সুফিয়ান। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি কোনও হামলার ঘটনায় জড়িত নই। দেবব্রতর মৃত্যুর সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই।’ নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। লড়াইয়ের সাহস আছে।’
সিবিআইকে তদন্তে তিনি সবরকম সাহযোগিতা করবেন বলে জানালেও বারবারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এড়িয়ে গিয়েছেন। গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাঁকে কিছু দিনের জন্য রক্ষাকবচ দিলেও সোমবার ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আর্জির প্রেক্ষিতে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে জামিনের আগাম আর্জি খারিজ হওয়ায়, সিবিআই যদি প্রয়োজন মনে করে, শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারবে।