কলকাতা: শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) এখন ফলতায় রাখা আছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বুধবার ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের ঘরে আমাদের লোক আছে। তাদের মাধ্যমেই আমরা সব খবর পাচ্ছি। এদিনই সকালের দিকে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, গতকাল বেশি রাতে শাহজাহানকে সন্দেশখালির বেড়মজুর থেকে বের করে আনা হয়েছে। তিনি এখন পুলিশের নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন। এক প্রভাবশালী মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জেলে পাঁচতারা সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনকী জেলে তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে পারবেন। চাইলে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডেও শাহজাহান থাকতে পারেন।
পাল্টা খোঁচা দিয়ে তৃণমূল বলে, এতই যখন জানেন, তখন শুভেন্দু শাহজাহানের গতিবিধি ইডি বা সিবিআইকে জানাচ্ছেন না কেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শাহজাহানকে শুভেন্দু তৃণমূলে এনেছিলেন। তাঁর সঙ্গে শাহজাহানের অনেক ছবি আছে। তার জবাবে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের যুবরাজের সঙ্গে শাহজাহানের প্রচুর ছবি আছে।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দুকে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে শর্তসাপেক্ষে। তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আর এক বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। আদালতের নির্দেশ, জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতের হালদারপাড়ায় যেতে পারবেন বিরোধী নেতা। হাইকোর্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা ১৪৪ ধারার বিজ্ঞপ্তির উপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, শুভেন্দু যেদিন সন্দেশখালি যান, সেদিন অনেক লোকের জমায়েত হয়েছিল। সেই জমায়েত থেকে শুভেন্দু এক আইপিএস অফিসারকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গেলে স্থানীয় মানুষও তো যাবেনই। কিশোর বলেন, আদালত শুভেন্দুকে যে রক্ষাকবচ দিয়েছে, তিনি তার অপব্যবহার করছেন। রাজদীপ বলেন, রাজ্য সরকার এই রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে চারবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। তারা রাজ্যকে স্বস্তি দেয়নি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আলাদা মুখ, তুলনা করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে ধরনা মঞ্চে শুভেন্দু বলেন, আমাকে সন্দেশখালিতে লড়াই করে ঢুকতে হলেও সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতদের সেখানে যেতে কোনও অসুবিধা হয়নি। তাঁর দাবি, সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সন্দেশখালির মানুষের কাছে বিজেপি আশা ভরসার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। গোটা ভারতবর্ষকে নাড়িয়ে দিয়েছে সন্দেশখালি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বিরোধী নেতা বলেন, আপনারা ১৯ মার্চ ব্রিগেডে পাগলু ডান্স করুন। আমরা সন্দেশখালিতেই থাকব। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব।
আরও খবর দেখুন