হাওড়া: গত ৮ আগস্ট একটি খুনের চেষ্টার মামলায় কলকাতার ৪৫ ওয়ার্ডের কংগ্রেস (Congress counciler Santosh Pathok) কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠাল শিবপুর থানার পুলিস। যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এই তলবি নোটিস, সেই সব্যসাচী মণ্ডল গত অক্টোবর মাসে খুন হন (Santosh Pathak attemped to muder)। ওই খুনের মামলায় কংগ্রেস নেতাকে তদন্তের কারণে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিস। গত ২০ ডিসেম্বর এই নোটিস পাঠানো হয় সন্তোষকে। দুদিনের মধ্যে তাঁকে দেখা করার কথা বলা হলেও শিবপুর থানায় যাননি তিনি। গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন সন্তোষ পাঠক (Santosh Pathak)।
শিবপুরের প্ল্যাস্টিকের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের পৈতৃক বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার দরিয়াপুর গ্রামে। বন্ধু রাজবীর সিংয়ের সঙ্গে ছুটি কাটাতে রায়নায় গিয়েছিলেন সব্যসাচী। রাতে বাড়ির ছাদে খাবার রান্না করছিলেন তিনি। এমন সময় তাঁর চালক এসে বলে যে, তাঁকে নীচে কেউ ডাকছে। কিছুক্ষণ পর রাজবীর সিং এবং গৃহকর্তা পার্থ সান্যাল দেখেন সব্যসাচী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: Basirhat: বসিরহাটে অটো রুট উদ্বোধনে এসে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, গাড়ি ভাঙচুর
এ ব্যাপারে গাড়ির চালক ও পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। রাজবীর পুলিসকে জানিয়েছিলেন যে, কিছুক্ষণ পর ছাদ থেকে নেমে আসার পর সব্যসাচী ‘রাজবীর-রাজবীর’ বলে একটা আওয়াজ করলেন, তারপর তিনি নীচে গেলেন। নীচে গিয়ে দেখেন তিন-চারজন লোক ছুরি দিয়ে কোপাচ্ছে। গাড়ির চালক অবশ্য বারবার তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন বলে পুলিস জানিয়েছে। কখনও হামলাকারীদের দেখে চিনতে পারা, আবার কখনো চিনতে না-পারার কথা বলে।
আরও পড়ুন: রবিবারের মধ্যে ভোটের হোর্ডিং, পোস্টার সরানোর নির্দেশ মমতার
সেই মামলাতেই এবার সন্তোষকে ডেকে পাঠানো হয়। যদিও তিনি থানায় হাজিরা না দেওয়ার পরেও পুলিস আর কোনও পদক্ষেপ করেনি। নোটিসের পরদিনই কংগ্রেসের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।