প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই ছবিতে রয়েছেন তিনি। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও তাঁর নাকি অবাধ বিচরণ। এই সব কিছুই ফেসবুকে পোস্ট করে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠে গেছিলেন স্বঘোষিত আইনজীবী সনাতন রায়চৌধুরী। বিশ্বের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তিনি যাননি। কখনও টোকিও, কখনও জিম্বাবোয়ে। সনাতন রায়চৌধুরীর ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে, তিনি সাউথ আফ্রিকার জোহান্সবার্গের ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। টোকিওতে গিয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। তার ফেসবুক থেকে এটাও জানা গেছে যে, কোনো এক সময় জিম্বাবোয়েতে যাওয়ার কথা ছিল তার। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার এবং তাঁর বাসভবনে মিটিং করতে যাওয়ার কোথাও পাওয়া গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। তবে এই সব কিছুই ফেসবুক পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
মঙ্গলবার সনাতন রায়চৌধুরীর আসল পরিচয় ফাঁস করল পুলিশ। বরাহনগরের বাসিন্দা সনাতন রায়চৌধুরীর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিচয় ছিল একজন আইনজীবী হিসাবে। ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা ছবি এবং তথ্য গুলি যাচাই করে দেখছে পুলিশ। এই সব ছবি সুপার ইম্পোজ করে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সাউথ আফ্রিকা সম্মেলনে যাওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। বিদেশে যাওয়ার সময় কি নামে পাসপোর্ট নিয়ে সনাতন গেছিলেন এবং কী কী তথ্য দিয়েছিলেন, সেই সঙ্গে আর অন্য কোনও দেশে তিনি গিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে কোথাও রাজভবনে বসে রয়েছে, কোথাও আবার মুম্বই হাইকোর্ট , সুপ্রিম কোর্টে তিনি গিয়েছেন বলে ফেসবুকে লিখে জানিয়েছিলেন। যেভাবে জাল নথি পেশ করে এবং নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে তাতে পুলিশের সন্দেহ বাড়াচ্ছে যে অন্য কোনও জায়গায় তিনি এই ধরনের প্রমোটিং করেছেন কিনা। পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।