আগামী সপ্তাহেই খুলছে বেলুড় মঠ। করোনা বিধি মেনেই আগামী ১৮ অগস্ট বুধবার থেকে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন মঠে। মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই আবশ্যিক। এছাড়াও মানতে হবে প্রয়োজনীয় করোনাবিধি । মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সে জানানো হয় মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে।
আরও পড়ুন এনআরসি তৈরি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: কেন্দ্র
করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান এর মতই দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ। গত মাসে একদিন খোলা হলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে দর্শনার্থীদের জন্য ফের খুলতে চলেছে বেলুড় মঠ । তবে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা। বিকেল ৪ টে থেকে ৫.৪৫ এই সময়সীমার মধ্যে। এই সময়ের বাইরে ভক্ত এবং দর্শনার্থীরা মঠে থাকতে পারবেন না।
আরও পড়ুন ভ্যাকসিনের আকাল কোভিশিল্ড এলেও নেই কোভ্যাক্সিন
কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই যেহেতু বেলুড় মঠ খোলা হচ্ছে তাই দর্শনার্থী থেকে শুরু করে মঠের সকল কর্মীকে মানতে হবে কোভিড বিধি। মঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার ওচ থার্মাল স্ক্রীনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্ব বিধিও সকলকে মেনে চলতে হবে। এর পাশাপাশি মঠে প্রবেশের আগে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের কোভিডের প্রতিষেধক নেওয়া ২টি ডোজের শংসাপত্র এবং তার সঙ্গে নিজের পরিচয়পত্র অর্থাৎ আধার কার্ড, প্যান কার্ড অথবা ভোটার কার্ডের মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এইগুলি যারা দেখাতে পারবেন তাঁরাই শুধুমাত্র মঠে প্রবেশ করতে পারবেন। অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে এমন কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র দেখালে মঠের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন সুখবর, রাজ্যে এল ৩ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন
চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি সব রকম করোনা বিধি মেনেই খোলা হয় বেলুড় মঠ। ভক্ত এবং দর্শনার্থীরা সব মন্দিরে প্রবেশাধিকার পেলেও মন্দিরে বসা, মঠ চত্বরে সময় কাটানো, আরতি দর্শন, ভোগ খাওয়া ইত্যাদি বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বার বাড়ন্তের পরেই অছি পরিষদের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২২ শে এপ্রিল থেকে মঠ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে রাখা হবে। সেই মতোই আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ফের খুলতে চলেছে বেলুড় মঠ । এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি ভক্ত ও দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন বকেয়া কর জমা দিলে তবেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তৃণমূলের তিন পঞ্চায়েতে ধুন্ধুমার