কলকাতা : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদ যাদবপুরে। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসা’র ছাত্রছাত্রীরা একটি গণ কনভেনশনের আয়োজন করে। এই কনভেনশন থেকে ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকেরা দৃঢ় কন্ঠে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তোলে।
কনভেনশন থেকে বিশ্বভারতীতে অবস্থান ছাত্রছাত্রীদের সংহতি জানিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতীর আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে নাগরিক সমাজ। আইসা এই কনভেনশনের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীর আন্দোলনের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তিন ছাত্রছাত্রীর বহিস্কারের ও সকল সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন – আলোচনায় বসতে অনড় উপাচার্য, উত্তপ্ত কবিগুরুর বিশ্বভারতী
আইসা দাবি করছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। তাঁরা জানিয়েছে, নাগরিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই এই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে পারে। সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন, গণতন্ত্রপ্ৰিয় মানুষের কাছে এই মুহূর্তের আশু পদক্ষেপ অর্থাৎ বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা।
সভায় বক্তব্য রাখেন আইসার পক্ষ থেকে কলকাতা জেলার সম্পাদক কমরেড সৌমেন্দু মিত্র, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অন্বেষা, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র সংগ্রাম, বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষ থেকে তথাগত, প্রতিসরণ পত্রিকার পক্ষ থেকে কমরেড হিন্দোল, পিডিএসএফ থেকে গণেশ, ডিএসএ থেকে অনন্যা নন্দী, যাদবপুর কমিউনের পক্ষ থেকে ঝিলাম গুপ্তা, নাগরিক আন্দোলনের কর্মী কমরেড তমাল, এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে কমরেড শুভদীপ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলিনা।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে খোলা চিঠি বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের
এছাড়াও এই সভায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পাশে থেকেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। বক্তব্য রেখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানসদা, আব্দুল মাতিন, পার্থপ্রতিম রায় এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক অমিত দাশগুপ্ত। সভার শেষে দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলাকে মনে রেখে সঙ্গীত পরিবেশন করে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা।