কলকাতা : ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবারে শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবার সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে রাজ্যপাল জানান, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে (West Bengal Education System) অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতি।
শুক্রবার রাজ্যপাল বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের একটি বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজভবনে। কিন্তু কোনও উপাচার্যই এই বৈঠকে হাজির হননি। তাতেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। নিজের টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন, রাজ্যে এখন আর আইন মানা হচ্ছে না। কোনও রকম নিয়ম না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিজেদের লোককে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে।
রাজ্যপালের মতে, গত বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘ইউনিয়নিজম’ শুরু হয়েছে। এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতেও তা শুরু হল। সেখানে ভয়ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। চলছে শাসকের শাসন, আইনের নয়। আচার্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পছন্দমতো উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে। আইনের নামে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রহসনও চলছে। ভিডিওতে রাজ্যপালের আরও বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) তদন্ত করে দেখা উচিত। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে কোনও মতেই শাসকদলের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না বলে ভিডিওতে মন্তব্য করেন ধনখড়।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1474207097457831936
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) টুইটারে ট্যাগ করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লেখেন, তাঁর ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্যরা। তৃণমূল সেখানেও দলবাজি করছে বলে অভিযোগ ধনখড়ের।
আরও পড়ুন : Maa Canteen: রাজ্য-রাজ্যপাল ফের সংঘাত, ‘মা’ ক্যান্টিনের বরাদ্দ নিয়ে রিপোর্ট তলব ধনখড়ের
রাজ্যপালের টুইটের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘এমন আচার্য থাকলে শিক্ষার সর্বনাশ হতে বাধ্য। কোনও বিল পাঠালে তিনি তা হিমঘরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। রাজ্যের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না রাজ্যপাল।’ তিনি আচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের কথাও তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য করা যায় কি না, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেব। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব।’