ভাঙাচোরা কাঠের দরজা, শেওলাধরা স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়ালে গা জড়িয়ে নেমে এসেছে বট-অশ্বত্থের ঝুড়ি৷ দিনের আলোতেও অন্ধকারে ডুবে আছে মাকড়সার জালে ঢাকা বিরাট বিরাট ঘর৷ সেখানেই ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াচ্ছে বাদুড়ের ঝাঁক৷ এ কোনও গ্রামের অজানা হানাবাড়ির গল্প নয়, শহরের ব্যস্ততম রাস্তা স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গুদামের হাল৷ পরিত্যক্ত গুদামের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি হাসপাতালকে৷মঙ্গলবার সেখানেই উদ্ধার হল আস্ত কঙ্কাল৷ সম্প্রতি কয়েকজন কর্মী গুদামটিতে কাজ করতে গেলে ছাদে কঙ্কালটি পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুন মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন শতাধিক কর্মী
নর্থ পোর্ট থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে কঙ্কালটি উদ্ধার করে৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কঙ্কালটি মানুষের, তবে পুরুষ না মহিলার তা এখনও জানা যায়নি। গুদামের ছাদে কীভাবে কঙ্কালটি এল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রায় ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে গুদামটি। দেওয়াল বেয়ে উঠে গেছে বিরাট বটগাছ। ব্যস্ততম স্ট্র্যান্ড রোডের ধারে পোর্ট ট্রাস্টের ভগ্নদশা প্রাপ্ত গুদামের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাকে। এ দিন জঞ্জাল সাফাই করতে এসে, ছাদে কঙ্কাল দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মীরা। কবে থেকে এই কঙ্কালটি পরিত্যক্ত গুদামের ছাদে পড়ে রয়েছে তা জানতে ওই এলাকার ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। শহরের ব্যস্ততম এলাকায় কীভাবে এই নরকঙ্কাল এল? শুরু হয়েছে জল্পনা৷