গৌতম ধোলে, আরামবাগ: এবার আরামবাগের বিজেপি শিবিরে ভাঙন৷ মাথা মুড়িয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করলেন ৫০০ বিজেপি কর্মী৷ মঙ্গলবার সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের হাত ধরে পুরনো দলে ফিরে আসেন তাঁরা৷ তৃণমূলে ফিরেই সকলেই জানান, বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিলেন৷ তবে এখন থেকে তৃণমূলের হয়েই কাজ করে যাবেন৷
আরও পড়ুন: আলাপনের বিরুদ্ধে যা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই: তৃণমূল
২০১৯ সালের ১৫ জুন খানাকুলের হরিশচকে তৃণমূল কর্মী মনোরঞ্জন পাত্রকে খুন করা হয়৷ সেই খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন বিভাস মালিক৷ তাঁরই নেতৃত্বে এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরেন কর্মীরা৷ বিভাস জানান, তাঁর সঙ্গে অনেকেই বিজেপিতে যোগ গিয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের অনুশোচনা হচ্ছে৷ তাই স্বেচ্ছায় মাথার মুড়িয়ে তাঁরা নতুন করে তৃণমূলে যোগ দিল।
যদিও এই দলবদলকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি৷ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিল তাঁদের কয়েকজন ফিরে গেছে৷ ওঁদের বিরুদ্ধেই খুনের মামলা করেছিল তৃণমূল।’ এদিকে খুনে অভিযুক্ত বিভাসকে
দলে ফেরানো নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে৷
আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ডরোডের গুদামে উদ্ধার নরকঙ্কাল
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘কাদের দলে নেওয়া হবে তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করে৷ এখানে জেলার কোনও হাত নেই। কাকে দলে নেওয়া হবে সেটা আমার হাতে নেই। আমি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সুপারিশ করতে পারি। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নেতৃত্ব৷’
একুশের নির্বাচন মিটতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার হিড়িক পড়ে গেছে৷ দলবদলু অনেক নেতা-কর্মী ফিরে আসছেন ঘরে৷ তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে ইতিমধ্যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস-সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরা৷ তবে তাঁদের দলে ফেরানো নিয়ে তৃণমূল নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি৷