কলকাতা: মথুরাপুর কেন্দ্রের (Mathurapur Loksabha) তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের ( TMC Candidate Bapi Halder) বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। একমাস পরেও অভিযোগ না নেওয়ায় মথুরাপুর থানার ওসিকে (OC Mathurapur Police Station) শো কজ করল আদালত। পঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান বিজেপির অনুপকুমার মিস্ত্রি।
মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বিডিও দেখছেন ব্যাপারটা। প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, হঠাৎ অনুসন্ধান কেন? বিডিও এখানে আসছেন কোথা থেকে? কোর্ট কেন অর্ডার দেবে? যেখানে প্রাথমিক ভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আবার অনুসন্ধান কেন? আপনারা ভূপতিনগরে ক্ষেত্রে ধৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান না করেই এফআইআর করে দিলেন। আর এখানে অভিযোগে যা রয়েছে, তাতে অভিযোগ জানানোর এক মাস পরেও এফআইআর করার মতো জায়গায় পৌঁছল না, পুলিশ! এটা কি তথ্য নথি নষ্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা নয়?
বিচারপতি বলেন, আপনার যদি মনে হয় অভিযোগে অপরাধের কোনও ইঙ্গিত নেই, তাহলে আপনি খোলা এজলাসে অভিযোগ পড়ুন। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, বিডিও ঘটনার অনুসন্ধানে টিম তৈরি করেছেন। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্যে যেখানে অন্য ক্ষেত্রে অনুসন্ধান ছাড়াই এফআইআর করে দেয় সেখানে পুলিশ অনুসন্ধানের জন্য অভিযোগ ঝুলিয়ে রেখেছে। এগুলো বিরক্তিকর। এত দিনেও ওসি কেন এফআইআর করেননি, ১৫ দিনের মধ্যে আদালতকে তা জানাতে হবে। আগামী ৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপারকে আদালতের নির্দেশ, কোনও ভাবে অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: তাপস রায়কে নিয়ে বিস্ফোরক সৌগত
প্রসঙ্গত শেষ প্যারায় লিখবি, প্রসঙ্গত, কৃষ্ণচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বাপির বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারপর ঠিক আছে। কখনও একবার কাজ করে তিনবার টাকা তোলা হয়েছে, কোথাও একবার কাজ করে দুবার টাকা তোলা হয়েছে। বর্তমান বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৭ মার্চ। কিন্তু এতদিনেও FIR করেনি পুলিশ। উল্টে ওই প্রধানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন