কলকাতা: পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর। তার পর কেটে গিয়েছে ৩৭টা বছর। শুরুর দিন থেকে কলকাতার লাইফলাইন মেট্রোর ভরসা ছিল নন-এসি রেক। প্রথমে ৯টি রেক ছিল। পরে আরও ৯টি রেক আসে। কালের নিয়মে এসি রেক আসায় ধীরে ধীরে রিসার্ভ বেঞ্চে চলে যেতে হয় নন-এসি রেকগুলিকে। আজ, রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে নন-এসি রেককে বিদায় জানানো হবে।
কলকাতা মেট্রোর ৩৭-তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিরবিদায় জানানো হবে নর্থ–সাউথ করিডরে দীর্ঘদিন পরিষেবা দেওয়া শেষ নন–এসি রেককে। ২০১২ সাল থেকে এসি মেট্রো রেক চালাতে শুরু করে মেট্রো। ধীরে ধীরে কমতে থাকে নন-এসি রেকের সংখ্যা। একে একে অবসর নিয়ে তাদের স্থান হয় নোয়াপাড়া কারশেডে। বাড়তে থাকে এসি রেকের সংখ্যা। আপাতত দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ অবধি ২২টি এসি রেক চালাচ্ছে মেট্রো।
আরও পড়ুন: বঙ্গে বিদায় বর্ষার, প্রাক শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গে
মেট্রো সূত্রে খবর, আজ মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনে (টালিগঞ্জ) বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালেই গীতা পাঠ হবে। তার পরে পুরনো কর্মীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। তথ্যচিত্রও দেখানো হবে। নন–এসি রেকটিকে সাজানো হয়েছে। বিকেল অবধি টালিগঞ্জ স্টেশনে রাখা থাকবে সেটি। তবে চাকরি থেকে অবসর নিলেও মাঝে মধ্যে মাঠে নামতে হবে নন-এসি রেককে।
রাতে লাইন পরীক্ষা, স্টাফ স্পেশাল, সিগন্যাল চেকিং, নয়া লাইনে দৌড়ানো- এই সমস্ত কাজ সারতে হবে তাকে। আপতকালীন পরিস্থিতিতে রিসার্ভ বেঞ্চ থেকে মাঠেও নামতে হবে নন-এসি রেকটিকে। ১৯৮৪ সালে প্রথম যে রেকটি কলকাতায় যাত্রা শুরু করেছিল, তার কামরা হাওড়া রেল মিউজিয়ামে এখনও রাখা আছে। বাকি রেকগুলি নোয়াপাড়া কারশেডে। এই শেষ রেকটিরও হয়তো স্থান হবে হাওড়া কিংবা নোয়াপাড়ায়!
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত লখিমপুর মামলার মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র, ভর্তি হাসপাতালে