কলকাতা: কর্মীরাই দলের সম্পদ৷ বিধায়ক-সাংসদ ভাঙিয়ে বিজেপিকে শেষ করা যাবে না৷ নতুন দায়িত্ব পেয়ে এমন মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি (BJP State President) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ আজ মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে সংম্বর্ধনা দেন পার্টি কর্মীরা৷ সেখানেই নয়া রাজ্য সভাপতি জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) আদর্শে বিশ্বাস না থাকলে দল থেকে চলে যেতে পারেন৷ কর্মীরা যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ চিন্তা নেই৷
সোমবার রাতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের উত্তরসূরি হিসেবে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নাম ঘোষণা করেন৷ এমন দায়িত্ব পেয়ে দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি৷ নতুন দায়িত্ব পেয়েই অভিষেক-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূল ঘেঁষা বুদ্ধিজীবীদের কড়া সমালোচনা করেন৷ জানান, তাঁর লক্ষ্য দলের জন্য কাজ করে যাওয়া৷ বলেন, ‘এই দায়িত্ব কিছুক্ষণের জন্য৷ আগামিদিনে অন্য কেউ এসে আমার চেয়ারে বসবে৷ কিন্তু এই ক্ষণস্থায়ী দায়িত্বের মধ্যে আমরা যদি প্রত্যেকে একটা ছাপ রেখে যেতে পারি তাহলে আগামিদিনে মানুষ আমাদের মনে রাখবে বলে বিশ্বাস৷’
আরও পড়ুন: করোনার ‘জুজু’ দেখিয়ে ত্রিপুরায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা, অনিশ্চিত অভিষেকের পদযাত্রা
তিনি এই পদে বসার কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়৷ তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির ভাঙনের শুরু৷ বিজেপি ছাড়ার জন্য অনেকেই পা বাড়িয়ে আছেন৷ তৃণমূলের উদ্দেশে নতুন রাজ্য সভাপতির বার্তা, ‘আমাদের কিছু বিধায়ক-সাংসদকে নিয়ে চলে গেলে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে যাঁরা এটা ভাবছেন তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন..৷ আমরা চাই না কেউ চলে যাক৷ একসঙ্গে লড়াই করতে চাই৷ কিন্তু যাঁরা সামান্য প্রলোভনে কোনও রাজপাটের আশায় তলে যাচ্ছেন তাঁদেরকে বলবে চলে যান৷ কর্মীরা যতক্ষণ আছে ততক্ষণ চিন্তা নেই৷ কর্মীরাই আমাদের সম্পদ৷’
দিলীপ ঘোষের লাইনে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পেরও সমালোচনা করেন৷ বলেন, ‘মাত্র ৫০০ টাকার জন্য লোকে লাইন দিচ্ছে৷ করোনার কোনও প্রভাব নেই৷ বিজেপি কোনও অনুষ্ঠান করতে গেলে তখন করোনা৷ লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে না৷ দুয়ারে সরকারের নামে হাজার হাজার লোককে এক জায়গায় জড়ো করা হচ্ছে৷ কোনও সোশাল ডিসট্যান্স ছাড়া৷’
আরও পড়ুন: অভিষেকের বাড়ির সামনে প্রচারে বাধা, অবস্থানে প্রিয়াঙ্কা
সামনে আরও কঠিন লড়াই৷ তিন বছর পর লোকসভা নির্বাচন৷ নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার তোড়জোর করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুকান্তবাবু বলেন, ‘তর্কের খাতিরে ধরেই নিও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ৪২টা আসনে জয়ী হয়েছে তাও দিদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না৷ বিধির লিখন নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে আঠারোর বেশি আসনে জিতে মোদিকে উপহার দেব৷’