কলকাতা: নাম নিলেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর নিশানায় রয়েছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী তাপস রায় (Tapas Roy )। বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে এক সমাবেশে মমতা বলেন, ইডি বাড়িতে গেল। ওমনি কেউ কেউ দল ছেড়ে দিল। তৃণমূলে থাকলেই চোর। আর বিজেপিতে গেলে ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে সব সাফ। কেউ কেউ আবার ভয়ে চলে গিয়েছে। ইডি ধরেছে। বাড়িতে গিয়েছে একদিন। যদি আবার যায়, সেই ভয়ে বিজেপিতে গেল। ফোন করে গদ্দাররা, এমনকী ইডির লোকেরাই বলে দিচ্ছে, বিজেপিতে চলে যাও। সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইডি না সিবিআই, কার একটা স্টেটমেন্ট দেখছিলাম। তিনি বলছেন, তৃণমূল বেছে বেছে ধর। আমি বলি, কোনও ভয় পাবেন না।
বুধবার বারাসতের সভায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মোদি। প্রধামমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল , বাংলায় মহিলারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হন। বাংলায় মেয়েদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মমতা বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বাংলায় মহিলারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। বিজেপি নেতারা উত্তরপ্রদেশের হাথরস, উন্নাও, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুরের নারী নির্যাতন দেখতে পান না। কিছু হলেই বাংলাকে নিয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিজেপির কাজ একটাই, তৃণমূলকে কেস দাও, ইডি লাগাও, সিবিআই লাগাও জেলে ভরে দাও। আর জোর করে ভোটে জিতে আস।। আমি বলি বাংলার উপর এত রাগ কেন পিন্টুবাবুর? বদনাম করেন কেন? মণিপুরে যখন মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছিল, কোথায় ছিলেন বিজেপির নেতারা? কোথায় ছিল কমিশন। ১৮টা এমপি ওদের জিতেছিল। বিজেপি কী করেছে বাংলার জন্য।
আরও পড়ুন: মমতার মিছিলে সন্দেশখালির মেয়েরা
গত ১২ জানুয়ারি তাপসের বউবাজারের বাড়িতে ইডি অভিযান চালায়। তাপস ওই ঘটনায় অভিমানী হন। তাঁর দাবি, উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে ইডি হানা দিয়েছিল। তাপসের আক্ষেপ, ওই ঘটনার পর দলের কেউ খোঁজ নেয়নি। কেউ ইডি হানার নিন্দা করেননি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় শাহজাহানকে সার্টিফিকেট দিতে পারেন। আর আমার বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে একটি কথাও বলতে পারেন না। তাপসের মূল অভিযোগ ছিল সুদীপের বিরুদ্ধে। এদিনের সভা থেকে সেই সুদীপ এবং তাঁর বিধায়ক স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য খবর দেখুন