কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ (UttarPradesh) নির্বাচনের আগে ফের একবার কংগ্রেসেকে বার্তা দিল তৃণমূল (TMC)। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরোধিতায় দেশের মুখ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) না। মমতাই একমাত্র বিকল্প। দলে এ নিয়ে যে প্রস্তাব পাস হয়েছে। তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতা জেলা দলীয় কর্মিসভায় সরাসরি রাহুলের নাম করে বলেছেন। সুদীপের মতই আর এক শীর্ষ নেতা সৌগত রায়ও (Sougata Roy) কলকাতা টিভি ডিজিটালকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘দিল্লির লড়াইয়ে মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে তাঁদের দলের পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
আরও পড়ুন: সিধুকে ‘পঞ্জাব রাজনীতির রাখি সাওয়ান্ত’ বলে কটাক্ষ, আপ নেতার মন্তব্যের বিরোধিতা
এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jago Bangla) কংগ্রেসকে বার্তা দিয়েছিল। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল, ‘কংগ্রেসকে বাদ রেখে জোটের কথা ভাবছে না বা বলছে বা তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। যে ভুল তারা করেছিল তার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না।’ তবে এ বার সম্পাদকীয় নয়। মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’র লিড স্টোরি। হেডলাইনেই সরাসরি বার্তা কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। ‘রাহুল গান্ধী পারেননি মমতাই বিকল্প মুখ।’
একুশের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিজেপি সমস্ত শক্তি এককাট্টা করেছিল বাংলা জয়ের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ সমস্ত প্রথম সারির নেতাকে জড়ো করেছিল প্রচারের মুখ হিসেবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বিজেপিকে। বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার বিকল্প হিসেবে তাঁরা আর কাউকে চাইছেন না। একমাত্র পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির এই পরাজয়ে ধাক্কা খেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ব্র্যান্ড ইমেজ। এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মোদির বিকল্প মুখ হতে গেলে রাহুল গান্ধীকে লড়াইয়ে জিতে দেখাতে হবে। মমতা যেমন লড়াই জিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে এলেও মানুষ তাঁকে বা কংগ্রেসকে ভোট দেয়নি। মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে তাঁকে ভরসা করতে পারেনি সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়ক চন্দনার ‘প্রেমিক’ কৃষ্ণ কুণ্ডু তৃণমূলে যোগ দিতে চান
ঠিক এখানেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘দেশে বিকল্প দরকার। আমি রাহুল গান্ধীকে দীর্ঘদিন চিনি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে তিনি এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি।’ উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা থেকে এই বার্তা দেন তিনি।