কলকাতা: বাংলার অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার পালা শ্লথ হয়ে যাওয়া দেশের অর্থনীতির হাল ধরার৷ তখন আর্থিক বৃদ্ধির রথের চাকাতেও গতি আসবে৷ জিডিপি বৃদ্ধির হারে রেকর্ড গড়ার পর এবার মাথাপিছু আয়ে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা৷ বাংলার এই সাফল্য তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরলেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়৷ তাঁর কথায়, এর থেকে বোঝা যায় আগামিদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন৷ যদিও রাজ্য সরকারের সাফল্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, যে রাজ্য সব দিক থেকে এগিয়ে সে রাজ্যের আট কোটি মানুষ ২ টাকা কেজি দরে চাল খায়৷
আরও পড়ুন: ইটের জবাবে পাটকেল ! ব্রিটেন থেকে এলেই ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর নিয়ম আনছে দিল্লি
মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে বাংলা৷ এমনটাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ আজ, শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে এমনটাই দাবি করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। টুইটারে জানিয়েছেন, ‘মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিতে দেশের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে বাংলা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলার মাথা পিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছে ৭.১৬ শতাংশ৷ যেখানে গোটা দেশের গড় মাথা পিছু আয় ৩.৯৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে৷’
এর পরই তৃণমূল শিবির থেকে এটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সাফল্য বলে প্রচার করা শুরু হতে থাকে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, এই তথ্য অন্য রাজ্যের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ৷ তৃণমূল নেতা তাপস রায় কলকাতা টিভির সাংবাদিককে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যতই বিরোধিতা করুক, বাংলাকে বঞ্চনা করুক৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিশ্রমে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন৷ যখনই যা বেরচ্ছে তাতেই তো বাংলা এগিয়ে৷ সুতরাং এর থেকে বোঝা যায় আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দিক থেকে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন৷ অর্থনৈতিক দিক থেকেও৷
আরও পড়ুন: আউটডোরে রিপ্রেজেন্টেটিভদের সঙ্গে গল্প ডাক্তারবাবুর, প্রশ্ন করতেই মার কলকাতা টিভির সাংবাদিককে
পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সব দিক থেকেই এক নম্বরে থাকে৷ যে রাজ্য সব দিক থেকে এগিয়ে সে রাজ্যের আট কোটি মানুষ দু’টাকা কেজি দরে চাল খান এবং ১০০ দিনের কাজে এক নম্বরে থাকে৷ এটা কীসের সূচক? অতিমারীর সময় ভারতের সমস্ত শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিল৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্পপতিরা ৫৬ হাজার কোটি টাকা পেয়েছিলেন৷ তখন অমিত মিত্র বিবৃতি জারি করে বলে দিলেন, মহামারির মধ্যে আমাদের রাজ্যে ৫৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে৷ সুতরাং রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান এবং তথ্যের বাস্তব প্রতিফলন কতটা সেটা এ রাজ্যের শিক্ষিত বেকাররা বুঝতে পারছেন৷