কলকাতা: বীরভূমের রামপুরহাট এবং নদিয়ার হাঁসখালি। দুই জেলার এই দুই ঘটনার জন্য পুলিস প্রশাসনকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিস নির্দিষ্ট সময়ে পদক্ষেপ করেনি বলেই হিংসা এবং ধর্ষণের মত ঘটনা নিয়ে সমাজে এত বিতর্ক বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পুলিসের কর্তব্যের গাফিলতির জন্যই সরকারের মুখ পড়েছে। ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে ২২মার্চ খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ভাদু শেখ। এরপরই বগটুই গ্রামে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। পর পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুনের পুড়ে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে পুড়ে মারা যায় আট জন। জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি পুলিস প্রশাসনকে দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, ভাদু শেখ খুনের ঘটনার পর বগটুই গ্রামে পুলিস পৌঁছতে দেরি করেছে। আর পুলিস সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করেনি বলেই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। ঘটনাস্থলের একেবারে লাগোয়া ডিএসপি-র বাংলো তারপরেও তিনি কোনও ব্যবস্থা করেননি বলে প্রশাসনিক আলোচনায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইরকম ঘটনা নদিয়ার হাঁসখালিতে। এখানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা হাঁসখালির ঘটনায় পুলিস তার কর্তব্যে গাফিলতির দায় এড়াতে পারে না। ধর্ষণের পর দু’দিন কেটে গেলেও কেন স্থানীয় পুলিস খবর পায়নি, এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদেহ দাহ করা হলেও পঞ্চায়েতের সূত্র ধরে সেই খবর কেন পুলিসের কাছে পৌঁছয়নি পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার পুলিসের কাছে একরকম আর সিবিআইয়ের কাছে আর একরকম বিবৃতি দিচ্ছেন। বিবৃতি বদলের বিষয়টি নিয়ে নদিয়া জেলা পুলিসকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধানতলায় এক কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিতর্ক মাথা চাড়া দেয়। ঘটনার পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিষয়টিকে ধর্ষণের মোড়ক দিতে চেষ্টা করে বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। এই ঘটনা নিয়েও রানাঘাট জেলা পুলিস প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।