কলকাতা: নিয়ম অমান্য করে একের পর এক কাজ করে চলেছেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এই অভিযোগ তুলে তাঁর এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন একদল আইনজীবী। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের এজলাসে আর কোনও মামলায় তাঁরা অংশ গ্রহণ করবেন না।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতা রাজু সরকারের মৃত্যু, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু
মঙ্গলবার দুপুর দু’টো থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন অই সকল আইনজীবীরা। এই বয়কটকারীদের তালিকায় রয়েছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অরুনাভ ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীন আইনজীবীরা। স্বাভাবিকভাবেই আইনজীবীদের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিঘ্ন ঘটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজকর্মে।
আরও পড়ুন- এটিএমের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, নিরাপত্তারক্ষীর সাহসিকতায় উদ্ধার টাকা
ঘটনার সূত্রপাত নারদ মামলাকে কেন্দ্র করে। মাস খানেক আগে নারদে অভিযুক্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিম্ন আদালতে সেই অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর হয়ে গেলেও পরে তা খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যা নিয়ে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা তোপ দেগেছিলেন। পরে আদালতের কার্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন- বাম-রামের জোটের ইতি, সিপিআইএমের সদস্যরা তৃণমূলে
অন্যদিকে, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ থেকে একটি মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। যার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে ‘স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন’ দায়ের করেছে হাইকোর্ট প্রশাসন। যা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের প্রশ্ন, “কলকাতার আইনজীবীদের এবং বিচারপতিদের কী কোনও মর্যাদা নেই? সব কেন সুপ্রিম কোর্টে?”
আরও পড়ুন- অমিত শাহ্-এর মন্ত্রকের সরকারি পোর্টালে নেই নিশীথ প্রামানিকের প্রোফাইল
এই সকল কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী এবং বিচারেপতিদের মধ্যে। প্রবীণ আইনজীবীদের এক বৈঠকে প্রধান বিচারপতির এজলাস বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীরা। হাইকোর্টের এমন অনেক আইনজীবি রয়েছেন যারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। যার কারণে প্রধান বিচারপতি বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই আইনজীবীদের দুই গোষ্ঠী বাদানুবাদে জড়িয়ে পরেন।