কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhai Incident) উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ রাজ্য(State Govt)। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানায় রাজ্য। বিচারপতি সেনগুপ্ত বর্তমানে আন্দামান সার্কিট বেঞ্চে রয়েছেন। তাই এদিন তিনটেয় ভার্চুয়ালি শুনানি হবে এই মামলার।
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে বিজেপির এক জমায়েত থেকে সেখানে কর্তব্যরত আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করা হয়। সেদিন ওই ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেল থেকে তার তীব্র নিন্দা করে বলেন, বিজেপি ধর্মীয় বিভাজনের জন্য ওই ধরনের মন্তব্য করেছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেবে। তারপর সন্দেশখালিতে বসে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সু্প্রতিম সরকার বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ওই মন্তব্য করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেদিন থেকেই শাসকদল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়। এখনও সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের সেই প্রচার অব্যাহত রয়েছে। শিখ সম্প্রদায় কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। শিখেদের এক প্রতিনিধিদল মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন। দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান শিখ সম্প্রদায়ের রাজ্য প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা অবশ্য এই অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি-কাণ্ডে জামিন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-১০)
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে রাজ্য শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই সময় বিচারপতি চন্দ জানান, শুভেন্দুর রক্ষাকবচ সহ একগুচ্ছ মামলার শুনানি করছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে রাজ্যকে যাওয়ার যেতে হবে। এরপরে রাজ্য সরকারের তরফে প্রধান বিচারপতির কাছে এফআইআর করার আবেদন জানানো হয়। রাজ্যের বক্তব্য, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের মামলা শোনার এক্তিয়ার রয়েছে। তবে তিনি এই মুহূর্তে সার্কিট বেঞ্চে আন্দামানে রয়েছেন। তাই যাতে অন্য কোনও বেঞ্চে মামলার শুনানি করা যায় সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য সরকার।
অন্য খবর দেখুন