করোনা, ডেল্টা প্লাসের পর বিশেষজ্ঞদের এখন নতুন চিন্তা হল ওমিক্রন। করোনার এই নতুন মিউট্যান্ট প্রজাতির অস্তিত্ব মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই সঙ্গে বেলজিয়াম ও হংকংয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। এই নতুন প্রজাতিকে নিয়ে বিস্তারিত জানালেন মহামারী রোগ বিশেষজ্ঞ ( Epidemiologist) ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র।
আরও পড়ুন : ডেল্টার পর এবার ওমিক্রন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত গবেষকরা
করোনা সংক্রমণকে রুখতে যে যে বিধিনিষেধগুলি মানা হয়েছিল, সেগুলিকে এবারেও মেনে চলার পরামর্শ দিলেন ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র। তিনি জানান, বিভিন্ন দেশে ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণের হার বাড়ছে। সেই সঙ্গে এখন যোগ হল ওমিক্রন। ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র ওমিক্রনের রিইনফেকশন ক্ষমতা সম্পর্কে বলেন যে, ওমিক্রনকে ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন্ট অর্থৎ একটি সমস্যা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এই নতুন প্রজাতি থেকে একজন মানুষ একবার আক্রান্ত হওয়ার পর সে আবারও আক্রান্ত হতে পারে। ফলে এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে, সেটা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কিন্তু করোনার মিউট্যান্ট প্রজাতি যে আসবে, সে সম্পর্কে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মত এবার নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে, যা ওমিক্রনের সংক্রমণকে রুখতে সাহায্য করবে। “কিছু কিছু গবেষকরা মনে করছেন যে, কম বয়সী যারা তাঁদের মধ্যে এই নতুন প্রজাতির থেকে সংক্রমণ আরও বেশি করে দেখা দিতে পারে। তবে এটা নতুন কিছু নয়। এরকম সম্ভাবনা থাকে যখন কোনও ভাইরাস মিউট্যান্ট করে তার মধ্যেকার নিউক্লিয়ার, নিউক্লিক অ্যাসিড গুলি পরিবর্তন করতে থাকে”, বলে জানান ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র।
আরও পড়ুন : ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ভারতে দু’জন আক্রান্ত করোনায়
করোনার নতুন প্রজাতির ফলে বেশকিছু সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। যে কারণে ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র জনসাধারণকে আরও সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এগুলো সঙ্গে করেই আমাদের বাঁচতে হবে। এখন গুরুত্বপূর্ণ হল মাক্সের ব্যবহার, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। অহেতুক ভিড় বাড়ানোর প্রবণতা কমানো, কারণ এটার প্রয়োজন আছে।” কিছুদিন আগেই একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। কিন্তু করোনার বিধিনিষেধ সেখানে কিছুই মানা হয়নি বলে জানান তন্ময় মহাপাত্র। তাই এবার নিজেদেরকে সাবধান হতে হবে এবং অন্যকেও তা মানতে হবে বলে জানান তিনি। “আমাদের হেলথ ডিপার্টমেন্টকেও তৈরি থাকতে হবে। তাই ইন্টারন্যাশনাল ও ডোমেস্টিক ট্রাভেলারদের ক্ষেত্রে টেস্টিং এবং প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলি করলে আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যাব, যেখানে স্বাভাবিক জীবনে আমরা স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসতে পারবো,” জানান ডাক্তার তন্ময় মহাপাত্র।