প্রথমে এল করোনা। করোনা নিজের প্রভাব বিস্তারের দু’বছরের মধ্যেই দেখা দিল করোনার এক প্রজাতি ডেল্টা প্লাস। তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে করতেই সারা বিশ্বে দেখা গেল করোনা ভাইরাসের এক নতুন প্রজাতি, নাম ওমিক্রন(Omicron)। এর প্রজাতির মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হু’র (WHO)তরফে করোনার নতুন প্রজাতি বি.১.১.৫২৯-এর নামকরণ করা হয়েছে ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার এপিডেমিওলজিস্ট সালিম আব্দুল করিম জানান, এই ভাইরাসকে রুখতে গেলে, সারা বিশ্বকে তার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তিনি আরও জানান, এর আগে যখন ডেল্টা প্লাসের অস্তিত্ব আবিষ্কার হয়, তার ৩ সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ৫৩টি দেশে এই প্রজাতির দ্বারা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছিল। কোয়াজুলু-ন্যাটাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্মের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রিচার্ড লেসেলস জানান, লামডা ও বিটা প্রজাতির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে ওমিক্রনের। যার ফলে এই প্রজাতি আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানান তিনি। করোনা ভাইরাস নিজের চরিত্র বদলের ফলে তৈরি হয়েছে ওমিক্রন, যা করোনার তুলনায় আরও বেশি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন কোয়াজুলু-ন্যাটাল রিসার্চের প্রফেসর তুলিও ডি অলিভেইরা। তিনি আরও জানান, বিশেষজ্ঞরা যা মনে করছিলেন, তার থেকেও অনেক বেশি বিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে করোনার। এর আগে করোনার জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের উপর। এখন বেশ কিছু দেশে ডেল্টা প্রজাতির জন্য সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। এরপর ওমিক্রনের ফলে ফের আক্রান্ত হবে বিশ্ব বলে মনে করছেন গবেষকরা।
হু’র তরফে জানানো হয়েছে যে, ওমিক্রনের রিইনফেকশনের ক্ষমতা আছে। যার অর্থ হল, কেউ যদি একবার এই প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়, তাহলে তার ফের এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এরই মধ্যে এই প্রজাতির সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও হংকং, ইজরায়েল ও বেলজিয়ামে এই প্রজাতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।