কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রবিবার গুগল সার্চ খুললেই একটি ছবি ভেসে উঠছে। চাড্ডি পরা এক গুঁফো এক পালোয়ান হাতে গদা নিয়ে দাঁড়িয়ে। চেনেন তাঁকে? অনেকেই হয়তো মাথা চুলকাতে শুরু করেছেন। বিদেশে কেন, দেশেরই অনেকে ভুলে গিয়েছেন তাঁকে। তিনি গামা পালোয়ান। সুকুমার রায়ের ছড়ায় আছে না— ‘হাতি লোফেন যখন তখন।’ গামা পালোয়ানও ছিলেন সেই জাতীয় কুস্তিগীর। ১২০০ কেজি ওজনের পাথর তুলে বিশ্বখ্যাত হন।
১৮৭৮ সালে অমৃতসরে জন্ম গামা পালোয়ানের। তাঁর অন্ধ ভক্ত ছিলেন ব্রুস লি। মাত্র ১০ বছর বয়সে গামা ৫০০ ডন ও ৫০০ বৈঠক দিতে পারতেন। তাঁর জন্মদিনে গুগল ডুডলে তাই গামা পালোয়ানের ছবি ভেসে উঠছে। স্বাধীনতাপূর্ব ভারতে গামাই বিশ্ব কুস্তি দরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। তাঁর শক্তির কারণে তাঁকে রুস্তম-ই-হিন্দ বলা হতো। আর রিংয়ে তাঁকে দি গ্রেট গামা বলে ডাকা হতো।
আরও পড়ুন: Everest Winner: অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় বঙ্গ-তনয়ার, গড়লেন নয়া রেকর্ড
গামার নাম গুলাম মহম্মদ বক্স দত। তাঁর কসরতের অনুকরণ করতেন ব্রুস লি। গামাদের গোটা পরিবারই ছিল কুস্তিগীর। ১৯১০ সালে বিশ্ব হেভিওয়েট কুস্তিতে তিনি প্রথম হন। ১৮৮৮ সালে দেশের ৪০০ কুস্তিগীরদের এক প্রতিযোগিতায় জিতে প্রচারের আলোয় আসেন। ১৯০২ সালে ১২০০ কেজি ওজনের যে পাথরটি তিনি তুলেছিলেন, সেটি এখন বরোদার একটি প্রদর্শশালায় সংরক্ষিত আছে। ৭ ফুট লম্বা রহিম বক্স সুলতানিওয়ালার সঙ্গে তাঁর কুস্তি সেসময় দেশে তোলপাড় তুলেছিল। কারণ গামা ছিলেন ৫.৮ ফুট উচ্চতার।
তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে তৎকালীন প্রিন্স অব ওয়েলস গামাকে একটি রুপোর গদা উপহার দিয়েছিলেন। ছবিতে তাই গদা হাতে গামাকে দেখা যাচ্ছে। এই বিশ্বখ্যাত কুস্তিগীর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানেই ১৯৬০ সালে মৃত্যু হয়। গামার এই ছবিটি এঁকেছেন বৃন্দা জাভেরি।