কলকাতা: সিপিএমকে নিয়ে এখন তেমন খবর হয় না। অস্তিত্বহীন হয়ে গিয়েছে। সুজনদা অনেক দিন টিভিতে আসেননি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধস্তাধস্তি করলে প্রেস অ্যাট্রাকশন হয়। বুড়ো বয়সে অ্যাকশন করে সুজনদা মার্কেটে আছেন। পুলিশের সঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর ধস্তাধস্তির ঘটনায় এ ভাবেই সিপিএমকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবার সকাল থেকেই ডোর টু ডোর প্রচার সারছিল সিপিএম। সুজন চক্রবর্তীকে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় প্রচারে যান বাম প্রার্থী তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে তাঁদের আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি থেকে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন দুই সিপিএম নেতা।
আরও পড়ুন: ‘ভোট শেষ জোট শেষ’ সংযুক্ত মোর্চা নিয়ে বলল সিপিএম
সিপিএমের অভিযোগ, শ্রীজীব বিশ্বাসের প্রচারে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় সুজন চক্রবর্তীর। সুজন চক্রবর্তী বলেন, পুলিশকে চিঠি দেওয়া ছিল। কমিশনের অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও আটকে দেওয়া হল। এতেই বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। আমাদের প্রার্থীকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, আটকানো হয়েছে।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় খাতাই খুলতে পারেনি সিপিএম। বহু আসনে বাম প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিধানসভায় প্রতিনিধি নেই বামেদের। কেরল বাদে দেশের অন্যান্য রাজ্যে কার্যত দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে সিপিএমকে। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে বামেরা খাতা খুলতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: সিলেবাসে সাভারকার-গোয়ালকারের লেখা, সিপিএম শাসিত কেরলে তুমুল বিতর্ক