কলকাতা: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, রেশন দুর্নীতি মূলত দুভাবে হত। এমনকী এরসঙ্গে রাইস মিলের মালিক ও ডিস্ট্রিবিউটররা সরাসরি জড়িত রয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
ইডি সূত্রে খবর, রেশন ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে যে কোয়ালিটির জিনিস যেত, সেখান থেকে ৩০ শতাংশ পরে কেটে নেওয়া হত। তাহলে কী হত ওই ৩০ শতাংশ রেশনের? সূত্রের খবর, কখনও ওই ৩০ শতাংশর বিক্রি করে দেওয়া হত খোলা বাজারে। আবার কখনও বিক্রি করা হত রাইস মিলগুলিতেই। এমনকী রাইস মিলের মালিকরা সেটা বিক্রি করে দিত সরকারের কাছে। আবার সেটা চলে আসত রেশন ডিস্ট্রিবউটরদের কাছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বানানো হয়েছিল ভুয়ো কৃষি সমবায় সমিতি। এই সমিতি থেকে চাল, ডাল, গম কেনা হত বলে দেখানো হত। তাই সরকারের থেকে সরাসরি টাকা ঢুকত ভুয়ো কৃষকদের অ্য়াকাউন্টে। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো কৃষকদের কাছে যে টাকা যেত সেখান থেকে বাকিবুর ও জ্যোতিপ্রিয়র কাছেও সেই টাকা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই গোটা পদ্ধতিটা খাদ্যমন্ত্রীর মদত ছাড়া চলতে পারে না বলে দাবি ইডির। চেন পদ্ধতিতে রেশন দুর্নীতি চলত বলে, তাই এখানে কোনও স্ক্যানার নেই বলে দাবি করেছে ইডি।