কলকাতা : বাঁজা কদমতলা ঘাট পরিদর্শন করলেন পুর প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার। শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে কলকাতার ঘাটগুলিতে। কলকাতা পুরসভার পুর কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। কাঠামো অতি দ্রুত তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছে। গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত রাখার যে প্রয়াস তা সফল। এমনটাই জানালেন দেবাশিস কুমার।
পাশাপাশি দই ঘাটেতে কলকাতা পুরসভার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে, রিভার ওয়াটার ডাইরেক্ট ফ্লোরের মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জনের যে নতুন ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০টি ঠাকুর নিরঞ্জন করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ, যার ফলে গঙ্গা দূষিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকছে না বলেই জানিয়েছেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
আরও পড়ুন : আজ আর কেউ বিজয়ায় চিঠি লেখে না
রাতভর কলকাতার ঘাটগুলিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিসর্জনকে ঘিরে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। ঘাটগুলিতে ২৭০০ প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। শুধুমাত্র বাঁজা কদমতলা ঘাটে ৪৭৮টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। শনিবারও একইরকমভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিমার রঙ থেকে যাতে গঙ্গা কোনওভাবেই দূষিত হতে না পারে সেই কারণে বিশেষ নজর কলকাতা পুরসভার। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর এই কাঠামো গঙ্গার জল থেকে সরিয়ে ফেলার কাজ করছে পুরসভার কর্মীরা। পুজোর আনুষঙ্গিক সরঞ্জামা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।