কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (narendra modi) ডাকা শুক্রবারের বৈঠকে থাকছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। ঋষি অরবিন্দের জন্মবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার কথা মোদির (modi mamata metting)। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, তা যেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, দেশজুড়ে স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোত্সযব’ পালনের জন্য বুধবার নরেন্দ্র মোদির প্রস্তুতি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও তাঁকে কোনও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, অন্য মুখ্যমন্ত্রীরা কিন্তু কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এতেই ভীষণ ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিদ্ধান্ত নেন শুক্রবারের বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মহাত্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজির জন্মদিনে বাজবে সাইরেন, ঘোষণা মমতার
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করতেই বুধবার বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। গোটা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নীরব শ্রোতার ভূমিকায় থাকতে হয়।নবান্নে এ নিয়ে মমতা অনুযোগ করেন, ‘পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব থেকে কাউকে বলতে দেওয়া হয়নি। আমি তিন ঘণ্টা ধরে মিটিংয়ে ছিলাম। বাংলাকে বাদ দিয়ে অন্যান্যরা বলেছেন, তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা হচ্ছে স্বাধীনতার পীঠস্থান এবং জন্মভূমি। স্বাধীনতার মাতৃভূমি। জাতীয় সংগীত বাংলার। নবজাগরণ থেকে একেবারে স্বাধীনতা সংগ্রাম সবটাই।’
আরও পড়ুন: Binay Tamang: তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং
ঘনিষ্ঠমহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। বৈঠকে কোনও কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ঠিক করেছেন শুক্রবারের বৈঠকে যোগ দেবেন না।
নবান্নের বৈঠকে ঘোষণা করেন, বছরভর রাজ্যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্র সেখানে ব্রাত্য। ওই বৈঠকেই বিদ্বজ্জনেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন, বাংলার বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভূমিকা তুলে ধরে পাঠ্যসূচিতে যাতে একটা আলাদা অনুচ্ছেদ রাখা হয়।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এহেন আচরণের নিন্দা করে রাজ্যের শিল্পীমহল। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী থেকে শুরু করে কবি জয় গোস্বামী, চিত্রী যোগেন চৌধুরী সকলেই কেন্দ্রের প্রতি বিষোদগার করেন। যোগেন চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলতে দিলেন না। এর থেকে অপমানজনক আর কী হতে পারে। বাংলাকে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর প্রতিবাদ জানাই।’